রাজধানীতে বন্দুকযুদ্ধে জঙ্গি মারজানসহ নিহত ২
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ৪০ মিনিটের সময় তাদের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
নিহত দুজনের মধ্যে নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা নুরুল ইসলাম মারজান রয়েছেন বলে পুলিশের দাবি। আজ শুক্রবার সকালে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান মিডিয়াকে এই তথ্য জানান।
নিহতদের মধ্যে বাকিজনের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি বিবার্তাকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের উপ পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া।
উল্লেখ্য, গত বছর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলায় সন্দেহভাজন জঙ্গি নেতা মারজানের পরিচয় মিলে বেশ কিছুদিন পর। তার প্রকৃত নাম নুরুল ইসলাম মারজান। তার বাড়ি পাবনায়। পাবনার সদর থানা–পুলিশের একটি দল পাবনা সদরের হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামে মারজানের বাড়িতে গিয়ে তার প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত করে। তার বাবার নাম নিজামউদ্দিন। স্থানীয় মাদ্রাসা থেকে পাস করে ২০১৪ সালে মারজান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে ভর্তি হন। মারজানের বিষয়ে তথ্য চেয়ে গত আগস্টে পুলিশের তথ্য পাওয়ার বিশেষ অ্যাপ ‘হ্যালো সিটি’তে তার ছবি প্রকাশ করা হয়। সেখানে তাকে গুলশান হামলার অপারেশন কমান্ডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের কর্মকর্তারা এর আগে জানিয়েছিলেন, গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার সঙ্গে জড়িত এবং হামলাকারী জঙ্গিদের সঙ্গে মারজানের যোগাযোগ ছিল বলে তথ্য পাওয়া গেছে। হলি আর্টিজানে হামলার পর রাত একটায় ইন্টারনেট-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত ভেতর থেকে জঙ্গিরা হত্যাযজ্ঞের ছবি তুলে তা মারজানসহ কয়েকজনকে পাঠিয়েছিল। ওই রাতে এসব ছবি আইএসের কথিত বার্তা সংস্থা আমাক-এ প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া আরও কিছু তথ্যে জানা যায়, যাতে মনে হয়েছে, মারজান গুলশান হামলার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।
এখন পর্যন্ত গুলশানের হামলায় নিহত জঙ্গিরা ছাড়া পরিকল্পনাকারী বা সমন্বয়কারী হিসেবে দুজনের নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ। তারা হলেন মারজান ও তামিম চৌধুরী। তামিম চৌধুরী ২৮ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে পুলিশের এক অভিযানে নিহত হন।