নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলের মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর গুলশান–২ নম্বরে সামদাদো নামের একটি জাপানি রেস্তোরাঁ সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। আর এ ঘটনায় রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপকসহ সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে পুলিশ। তাঁর মরদেহ বারডেমের হিমঘরে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শাকিলের মরদেহ বারডেমের হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। আলামত যেন নষ্ট না হয়, সে জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর থেকেই রেস্তোরাঁটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিট আলামত সংগ্রহ করেছে।
জানতে চাইলে গুলশান থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা খালেদুর রহমান বলেন, ‘রেস্তোরাঁর কর্মকাণ্ড আপাতত বন্ধ রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে কাউকে থানায় আনা হয়নি।’
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে রেস্তোরাঁর ছয়জন কর্মী এবং পরে ব্যবস্থাপককে নিয়ে যায় পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে ওই রেস্তোরাঁর সামনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, শাকিলের মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার তাঁর ময়নাতদন্ত করা হতে পারে। পরে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা হবে। সেখান থেকে মরদেহ তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের বাঘমারায় নেওয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হবে।
বাসসের খবরে বলা হয়, মাহবুবুল হক শাকিল ১৯৬৮ সালের ২০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে এসএসসি ও আনন্দমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর বাবা আইনজীবী জহিরুল হক খোকা ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। সাবেক এই ছাত্রনেতা সাহিত্য অনুরাগী ও লেখক ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত বইগুলো হলো ‘খেরোখাতার পাতা থেকে’ ও ‘মন খারাপের গাড়ী’। সূত্র: প্রথম আলো