নিজস্ব প্রতিবেদক : হাতিরঝিলে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে নামছে ওয়াটার ট্যাক্সি। এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে। ইতোমধ্যে চারটি ওয়াটার ট্যাক্সি আনা হয়েছে।আজ সোমবার ভোরে ট্যাক্সিগুলোকে হাতিরঝিলে আনা হয়। চট্টগ্রামের ডকইয়ার্ড থেকে ওয়াটার ট্যাক্সিগুলোর বডি বানানো হয়েছে এবং ইঞ্জিন আনা হয়েছে চীন থেকে।
৩০ আসন বিশিষ্ট প্রতিটি ওয়াটার ট্যাক্সির দাম পড়েছে ৩৮ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন হাতির প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর শাকিল হোসেন। দুটি ট্যাক্সি এফডিসি মোড় থেকে ছাড়বে রামপুরার উদ্দেশে। অন্য দুটি রামপুরা ব্রিজের কাছে ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ছাড়বে এফডিসির দিকে যাওয়ার জন্য।
হাতিরঝিলের উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে ওয়াটার ট্যাক্সি নামানোর ঘোষণা প্রকল্পের শুরু থেকেই দেয়া হয়েছিল। রামপুরা ব্রিজ থেকে এফডিসি মোড় হয়ে গুলশান পুলিশ প্লাজা ঘোরে আবার রামপুরা ব্রিজের কাছে স্থাপিত ল্যান্ডিং স্টেশনে নামিয়ে দিতে যাত্রী পিছু ২৫ থেকে ৩০ টাকা নেয়া হবে। অবশ্য তিন মাস পর ভাড়া পুণ: নির্ধারণ করা হবে।
হাতিরিঝল প্রকল্পের পরিচালক জামিল আক্তার জানান, পরে ওয়াটার ট্যাক্সিগুলোকে গুলশান-বারিধারা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে।
শুরুতে ট্যাক্সিগুলোকে ৪৫ আসন বিশিষ্ট এসি সমৃদ্ধ করে নামানোর পরিকল্পনা ছিল বলে জানান মেজর শাকিল। তখন কিন্তু এসি ট্যাক্সির জন্য ভাড়া বেশি পড়তো। সাধারণ মানুষ যাতাযাত করতে পারবে না, লিজ নেওয়া কোম্পানিও তার বিনিয়োগকৃত টাকা তুলতে পারবে না সময় এ চিন্তা করে আসন সংখ্যা ৩০ করা হয়েছে। হাতিরঝিলের ব্রিজগুলোর চিন্তাও ছিল আসন কমিয়ে দেয়ার পেছনে।
মেজর শাকিল হোসেন আরো জানান, পরে এয়ার টাইট সিস্টেম সমৃদ্ধ আরো দুটি ওয়াটার ট্যাক্সি নামানো হবে যাতে প্রধানমন্ত্রীসহ ভিআইপিরা ভ্রমণ করতে পারেন।
ইতোমধ্যে হাতিরঝিলে বাস সার্ভিস চলছে। রামপুরা থেকে এফডিসি মোড় পর্যন্ত ১৫ টাকা এবং রামপুরা থেকে এফডিসি হয়ে পুলিশ প্লাজা ঘুরে আবার রামপুরা ব্রিজের সামনে এসে নামলে ৩০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। অপরদিকে রামপুরা থেকে পুলিশ প্লাজা গেলে ভাড়া লাগে ১০ টাকা।
ট্যাক্সি সার্ভিসটি এম এস ওয়াহিদ মিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান আগামী ২০ বছরের জন্য রাজউক থেকে লিজ নিয়েছে। মেজর শাকিল জানান, লিজি প্রতিষ্ঠান নিজেরা ভাড়া নির্ধারণ করতে পারবে না রাজউকের অনুমোদন ছাড়া। এই খাতে রাজউক কখনোই ভর্তুকি দেবে না। ট্যাক্সি সার্ভিসের আয় হাতিরঝিলের উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হবে।এফডিসি মোড় থেকে মেরুল বাড্ডা লিঙ্ক রোড পর্যন্ত ট্যাক্সি আসতে লাগবে ৩০ মিনিট। ঝিলের দুই ধারে ভাঙনের প্রতি খেয়াল রেখে ট্যাক্সিগুলো খুব দ্রুত গতিতে চলাচল করবে না।
বাড্ডা, গুলশান, বারিধারা, রামপুরা মানুষ খুব সহজেই কারওয়ান বাজারের দিকে যেতে পারবে কোনো ট্রাফিক জ্যাম ছাড়াই। ট্রাফিক জ্যামে আটকে সময় নষ্ট হওয়া একেবারেই কমে যাবে এ পথে যাতাযাত করলে।ট্যাক্সি সার্ভিস শুধু যে দুই দিকের যাতায়াতকে সহজ করবে তা নয়, ঢাকারবাসীর আনন্দ ভ্রমণের ব্যবস্থাও হয়ে যাবে।জামিল আক্তার বলেন, মানুষের সাড়া মিললে পরে এ সার্ভিস গুলশান বারিধারা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে।