আর্ন্তজাতকি ডস্কে : টানটান উত্তেজনার মধ্যেই ভারতে হামলার লক্ষ্যবস্তু ঠিক করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে যদি কোন ধরনের হামলার ঘটনা ঘটে, তার উপযুক্ত জবাব দিতে আগাম প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে পাকিস্তান। শুক্রবার পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম দেশটির প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে। অন্যদিকে ভারতের মিডিয়াগুলোও এ সংবাদটিকে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করেছে।
জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্ত হয়ে সম্ভাব্য যে কোন হামলার প্রতিশোধ গ্রহণ করতে ইতিমধ্যে অভিযানের একটি পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ প্রস্তুত করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, ভারতের সম্ভাব্য যেসব জায়গায় হামলা চালানো হবে, তার রোডম্যাপ সম্পন্ন করা হয়েছ। শত্রুর পক্ষ থেকে কোন আগ্রাসী হামলার ঘটনা ঘটলেই, তৎক্ষণাৎ তার পাল্টা জবাব দেবে পাকিস্তান।
সূত্র আরও বলেছে, ‘ভারতের পক্ষ থেকে যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পাক সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের অভিযান পরিকল্পনা প্রস্তুত রয়েছে। ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার লক্ষ্যবস্তু চূড়ান্ত করা হয়েছে। সেন্যও যুদ্ধের জন্য নিবেদিত রয়েছে।’
আরেকটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী উচ্চ সতর্কতায় থাকবে। সময়ের প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে।
পাক প্রতিরক্ষা সূত্র বলছে, শুরুটা ঠান্ডা বা শীতল, যেভাবেই হোক না কেন। আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আমাদের স্বক্ষমতা সম্পর্কে ভারত ভালভাবেই অবগত। সীমান্ত হয়ে যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে ভালভাবে সেনা ভারসাম্য বজায় রাখা হয়েছে। ভারত হামলা করলেই তৎক্ষণাৎ আগের ঠিক করা লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা হামলা চালানো হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের সিনিয়র সাংবাদিক হামিদ মীর ইসলামাবাদের আকাশে যুদ্ধ বিমানের উপস্থিতি নিয়ে টুইট করেছেন। যা নিয়ে শোরগোল দেখা গেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে।
পাকিস্তান টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন আকাশ বা স্থল সীমা কোনটিই লঙ্ঘন করা হলে তা সহ্য করা হবে না।
এদিকে হঠাৎ করে মহাসড়ক বন্ধ করে মহড়া শুরু করেছে পাকিস্তানের যুদ্ধ বিমানগুলো। বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থগিত, ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ করে বুধবার ও বৃহস্পতিবার এ মহড়া চালাতে দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী ইসলামাবাদের আকাশে যুদ্ধ বিমানের গর্জন শোনা গেছে । যদিও পাকিস্তান সেনাবাহিনী এটাকে তাদের নিয়মিত মহড়া বলে দাবি করেছে। তবে সম্প্রতি দুদেশের উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এ মহড়াকে যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন অনেক নিরাপত্তা বিশ্লেষক।
গত রোববার জম্মু-কাশ্মীরের উরিতে সেনা ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৮ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। এ হামলাকে কেন্দ্র করে নতুন করে তিব্রতর হয় দুদেশের মধ্যকার উত্তেজনা। এ ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ি করেছে ভারত। অন্যদিকে বরাবরের মত এ অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান।
জি নিউজ, ইন্ডিয়া টুডে, ফক্স নিউজ।