স্পোর্টস ডেস্ক : শুক্রবার বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানায়, দুজনের অ্যাকশনই বৈধ প্রমাণিত হয়েছে। এমন খবর পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই তাসকিন ছিলেন আত্মহারা। আর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হতেই নিজের অনুভূতির কথা জানালেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় বাংলাদেশের অন্যতম এই ফাস্ট বোলারকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল আইসিসি। বিশ্বকাপের ম্যাচের সময় (৯ মার্চ, ২০১৬) আম্পায়াররা তার অ্যাকশন অবৈধ বলে সন্দেহ করেন। এ রিপোর্টের পর তিনি চেন্নাইয়ে আইসিসি অনুমোদিত ল্যাবে পরীক্ষা দেন। তবে পাস করতে পারেননি। নিষিদ্ধ হন। এরপর দেশে অ্যাকশন শুধরে নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছেন তার। এই মাসের শুরুর সপ্তাহে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় যান। সেখানে ব্রিজবেনের ল্যাবে অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন তিনি। সেই পরীক্ষার ঘোষণাই আজ শুক্রবার দিল আইসিসি।
তাসকিন বলেন “অনেক খুশি। টেস্টের পর সত্যি বলতে একদিনও ঘুমাতে পারিনি ঠিকমত। নিষিদ্ধ হওয়ার পর বাইরে গেলে, এমনকি নিজের কাছেও অনেক ছোট মনে হচ্ছিল নিজেকে। আল্লাহর রহমতে আজকে অনেক বড় দিন আমার জন্য। কদিন আগে ঈদ গেল। তার চেয়েও খুশির দিন মনে হচ্ছে আজ।”
এ সময় তরুণ এই ফাস্ট বোলার জানালেন, নিষেধাজ্ঞা থকে মুক্তির খবর পাওয়ার পর প্রথমেই তা জানিয়েছেন বাবা-মাকে। তিনি বলেন, জানার পর বাবা-মাকে ফোন দিয়েছি। দুজনই খুব খুশি, খুব টেনশনে ছিলেন তারা। অনেক দিন পর বাবা-মা মন খুলে হাসতে পারছেন।
একই সঙ্গে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে যিনি কাজ করেছেন তার প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাসকিন। তিনি বলেন, জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ সবাই খুব সহায়তা করেছেন। জাকি স্যারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ। উনি আমার সঙ্গে ৫ মাস লেগে ছিলেন। আমার ঘরে ৬ ফুটের একটা আয়না সেট করে দিয়েছিলেন তিনি যেন নিজের অ্যাকশন দেখতে পারি। এছাড়া সব কোচকে ধন্যবাদ।