নিউজ ডেস্ক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহান জলির সাবেক স্বামী তানভীর আহমেদকে বিভাগের সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভাগ।
পাশপাশি বিষয়টি তদন্তের জন্য বিভাগের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তাছাড়া ‘আত্মহত্যা প্ররোচণা’ মামলা তদারকির জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে একাধিক শিক্ষক নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। তানভীর আহমেদ একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং সাবেক সভাপতি।
তবে বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমেদ সার্বিক দিক বিবেচনা করে নিজ থেকে বিভাগের একাডেমিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেন। আর তা সভায় উপস্থিত শিক্ষকদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে অনুমোদন হয়।
ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, সভার একপর্যায়ে তানভীর আহমেদ নিজেই একাডেমিক কার্যক্রম থেকে নিজেকে প্রত্যাহার রাখার প্রস্তাব দেন। পরে সেটা সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়।
এ ব্যাপারে তানভীর আহমদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সভার শুরুতে আকতার জাহান জলির মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। হাতে নেয়া হয় আরও বেশ কিছু কর্মসূচি।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় বিভাগের সামনে থেকে শোকর্যালি, বেলা ১২টায় শোকসভা এবং ২৩ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিন কালো ব্যাজ ধারণ।
সভায় আকতার জাহানের নামে বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরির নামকরণ, বিভাগের সামনে ‘আকতার জাহান কর্ণার’ স্থাপন ও শোকবই খোলার সিদ্ধান্ত হয়।
মামলার তদারকি কমিটিতে বিভাগের সভাপতিকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ কমিটির সদস্য হলেন- সহকারী অধ্যাপক শাতিল সিরাজ, কাজী মামুন হায়দার রানা ও আব্দুল্লাহীল বাকী।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় জুবেরী ভবনের নিজ কক্ষ থেকে শিক্ষিকা আকতার জাহান জলির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন বিকালে তার ছোট ভাই কামরুল হাসান আত্মহত্যায় প্ররোচনা অভিযোগে রাজশাহী নগরীর মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত চলছে। যুগান্তর