বিনোদন ডেস্ক: ফ্ল্যাট খুঁজে দেওয়ার জন্য দালালকে দেওয়া অগ্রিম টাকা উদ্ধার করতে কলকাতার বেহালায় গিয়েছিলেন। সেখানেই বুধবার সন্ধ্যায় যৌনচক্রের সন্ধান পেলেন টেলিভিশনের পরিচিত অভিনেত্রী পায়েল রায়। এদিন যৌনচক্রের সন্ধান পাওয়ার পরেই পর্ণশ্রী থানায় খবর দেন পায়েল এবং তার প্রেমিক সায়ন দাশগুপ্ত। সায়ন নিজে একজন টেলিভিশন ধারাবাহিক পরিচালক।
মাসকয়েক আগে ফ্ল্যাট কিনবেন বলে গৌরাঙ্গ সাহারায় নামে এক দালালকে দলিল সংক্রান্ত কাজের জন্য অগ্রিম ১০ হাজার টাকা দেন পায়েল। কিন্তু টাকা হাতে পাওয়ার পরপরই বেপাত্তা হয়ে যায় সে।
শেষমেশ কয়েকদিন আগে চেতলার একটি বাড়িতে গৌরাঙ্গের খোঁজ পান পায়েল এবং সায়ন। তাদের জেরার মুখে গৌরাঙ্গ স্বীকার করে যে, ফ্ল্যাট খুঁজে দেওয়ার নাম করে পায়েল ছাড়াও আরও কয়েকজনের কাছ থেকে সে মোটা টাকা নিয়েছে। কিন্তু টাকা ফেরত চাইলে গৌরাঙ্গ জানায়, সমস্ত টাকা তার প্রেমিকা কেড়ে নিয়েছে।
গৌরাঙ্গের কাছ থেকে তার প্রেমিকার বাড়ির ঠিকানা নিয়ে এদিন বেহালার ব্রাহ্মসমাজ রোডের বাড়িতে পৌঁছে যান পায়েল এবং সায়ন।
সায়ন জানান, ওই ঠিকানায় নির্দিষ্ট বাড়িতে ঢুকে তারা দেখেন, সেখানে যৌনচক্রের আসর চলছে। ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পায়েল ফ্ল্যাট কেনার জন্য কয়েকমাস আগে গৌরাঙ্গকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিল। সেই টাকা উদ্ধারে নেমে যে মধুচক্রের খোঁজ পাব, ভাবিনি!’
যেখানে যৌনচক্রের খোঁজ পাওয়া গেছে, সেই বাড়ির বৃদ্ধ মালিক রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে অবসর নেওয়া উচ্চপদস্থ কর্মী। সায়নের অভিযোগ, বাড়ির মালিকের চোখের সামনে তার মেয়ে এবং নাতনিরাই যৌনচক্রটি চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বাড়িমালিক বলেন, ‘বহুবার আপত্তি জানিয়েছি। কিন্তু তাতে আখেরে কিছুই লাভ হয়নি! উল্টে ওরাই আমার ওপর অত্যাচার করেছে দিনের পর দিন। আমাকে মারধর তো করতই! এমনকী, আমার নিয়মিত খাওয়ার ওষুধও লুকিয়ে রাখত ওরা।’ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে সায়নেরা জানতে পারেন, ওই বাড়িটিতে যৌনচক্রের বিষয়টি নতুন কিছু নয়। সায়নের বক্তব্য, এর আগে পুলিশকে বেশ কয়েকবার জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। তাতে লাভ হয়নি।এ প্রসঙ্গে পুলিশের এক কর্মকর্তা মিরাজ খালিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টা দেখছি। ওদের পরিবারে কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে যৌনচক্র সংক্রান্ত প্রামাণ্য কোনও তথ্য এখনও পাইনি।’