স্বাস্থ্য ডেস্ক : আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে শরীরে অনেক বেশি তাপ উৎপন্ন হলে মাথা ব্যথা হয়। এই অবস্থায় শরীর ঠান্ডা হলে ব্যথা কমে যায়। মাথা ব্যথা বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে মাথাব্যথা দূর করা যায়। মাথা ব্যথা দূর করার প্রাকৃতিক উপায়ের বিষয়ে জানবো এই ফিচারে।
সঠিক খাদ্য গ্রহণ:-
বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে যে, কিছু খাদ্য মাথা ব্যথা বৃদ্ধি করতে পারে। পনির, কফি, চকলেট এবং চা তে ভাসোঅ্যাকটিভ অ্যামাইনস থাকে যা মাইগ্রেনের মাথাব্যথাকে উদ্দীপ্ত করতে পারে। অ্যামাইনস মস্তিষ্কের ভেতরের ও চারপাশের রক্ত প্রবাহের উপর প্রভাব বিস্তার করে বলে মাথা ব্যথা হয়। যদি আপনার প্রায়ই মাথাব্যথা হয় তাহলে একটি ফুড ডায়েরি তৈরি করুন। কোন খাবারটি আপনার মাথা ব্যথা বৃদ্ধি করে তা লিখে রাখুন এবং এগুলো এড়িয়ে চলুন। তাহলেই আপনি মাথা ব্যথা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
স্ট্রেস মুক্ত থাকুন:-
স্ট্রেস মুক্ত থাকার জন্য আপনার সারাদিনের কাজগুলো পরিকল্পনা অনুযায়ী করুন এবং রিলেক্স থাকুন। ঠান্ডা বা গরম ভাপ নিলে টেনশন হেডেক দূর হয়। কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করে ফেলতে পারেন। আইস প্যাক ব্যবহার করলেও মাথা ব্যথা কমে যায়।
এছাড়াও যে ঘরোয়া প্রতিকারগুলো মাথা ব্যথা দূর করতে কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে তা হল :
১। আদা:-
মাথার রক্তনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করার মাধ্যমে মাথা ব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে আদা। সম পরিমাণ আদার রস এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে দিনে এক বা দুই বার পান করুন।
২। পুদিনার রস:-
পুদিনার দুটি প্রধান উপাদান মেন্থল ও মেন্থন যা মাথা ব্যথা কমতে সাহায্য করে। একমুঠো পুদিনার রস কপালে লাগিয়ে রাখলে মাথা ব্যথা কমে।
৩। পিপারমেন্ট ওয়েল:-
পিপারমেন্ট ওয়েলে মেন্থল থাকে যা রক্তনালীর বাঁধা দূর করে, যার ফলে মাথা ব্যথা দূর হয়। ফুটন্ত পানিতে কয়েকফোটা পিপারমেন্ট এসেনশিয়াল ওয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটির ভাব প্রশ্বাসের সাথে গ্রহণ করুন কয়েক মিনিট যাবৎ।
৪। তুলসী:-
তুলসী পেশীকে শিথিল করতে পারে। মাসেল টেনশন দূর করার মাধ্যমে হালকা মাথা ব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করে তুলসী। এছাড়াও এর শান্ত ও বেদনানাশক ভূমিকাও আছে। এক কাপ ফুটানো পানির মধ্যে ৩-৪ টি তাজা তুলসী পাতা দিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। এতে সামান্য মধু মিশিয়ে আস্তে আস্তে পান করুন।
৫। কাঠবাদাম:-
কাঠ বাদাম, কাজু বাদাম, আখরোট ইত্যাদি বাদামে স্যালিসিন থাকে যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। চিনা বাদাম এর অন্তর্ভুক্ত নয় কারণ এটি লিগিউম জাতীয়। বাদামের স্যালিসিন স্যালিসাইলিক এসিডে পরিণত হয় যা অ্যাস্পিরিনের মতোই কাজ করে। নিয়মিত বাদাম খেলে ঘন ঘন মাথা ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।