স্বাস্থ্য ডেস্ক : এই গরমে দেহের পানিশূণ্যতা রোধ করতে আমাদের সবারই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। কিন্তু অনেকেই পানির বদলে চা, কফি, জুস ও কোমল পানীয় পান করতে বেশি পছন্দ করেন। তবে এসবের স্বাস্থ্য উপকারিতা কিছুটা কম। সে তুলনায় জিরা পানির উপকারিতা কিছুটা বেশি।
আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক জিরা পানির গুনাগুণ সম্পর্কে-
১. ওজন কমাতে জিরাপানি
জিরা পানির একটি উপকারিতা হচ্ছে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। দিনে দুই বার জিরা পানি পান করলে ক্ষুধা কমে যায়। ফলে খাওয়ার ইচ্ছেটাও কমে যায়।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
জিরাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিরায় আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন এ ও সি থাকে। যা থেকে অ্যান্টি অক্সিডেণ্ট পাওয়া যায়।
৩. রক্তশূন্যতার চিকিৎসায়
জিরাতে থাকা আয়রন রক্তস্রোতে অক্সিজেন বহনকারী হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এছাড়া জিরা পানি আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতার জন্য বেশ উপকারী।
৪. অ্যাসিডিটি কমায়
অ্যাসিডিটির সমস্যার জন্য ভালো জিরা পানি খুবই উপকারি। যেকোনো ভারী খাবার খাওয়ার পর ধীরে ধীরে জিরাপানি খেলে অ্যাসিডিটির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৫. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
জিরাপানি পানের আর একটি স্বাস্থ্য উপকারিতা হচ্ছে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তারা দিনে দুইবার এই পানীয়টি পান করতে পারেন।
৬. গ্যাসের সমস্যা সমাধানে
পেটের গ্যাস কমাতে জিরা পানি সাহায্য করে। যদি গ্যাসের কারণে পেট ফুলে থাকে তাহলে ধীরে ধীরে জিরা পানি খেতে পারেন।
৭. বমি বমিভাব দূর করে
জিরা পানি বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে। তাই গর্ভবতী নারীরা ‘মর্নিং সিকনেস’ থেকে মুক্তি পেতে এটি পান করতে পারেন।
স্বাস্থ্য সম্মত পানীয় হিসেবে জিরা পানির উপকারিতা অনেক বেশি। স্বাদে ও পুষ্টিগুণ ভরপুর জিরা পানির রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা। জিরা পানি কিভাবে বানাতে হয় সে সম্পর্কে এবার জেনে নেয়া যাক।
জিরা পানির প্রস্তুত প্রণালী:
পানি ১ লিটার, জিরা দেড় চা চামচ নিন। চুলায় একটি হাড়িতে পানি ফুটিয়ে জিরা দিয়ে আরো ৮-১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। পানি পৌঁনে ১ লিটার হলে নামিয়ে ছেঁকে ঠান্ডা করুন। চাইলে কুসুম গরম বা বরফ শীতল দুইভাবেই আপনি খেতে পারেন। আরো সুস্বাদু করার জন্য এর সঙ্গে সামান্য চিনি, বিট লবন, গোলমরিচ গুঁড়া, লেবুর রস, ধনেপাতা বা পুদিনাপাতা কুচি যোগ করে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন।