স্পোর্টস ডেস্ক : আনন্দে কথা বলতে পারছিলেন না রুমানা আহমেদ। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পর পর নির্বাচক আতহার আলী খানের মুঠোফোনে কথা বলতে চাওয়া হলো তাঁর সঙ্গে। কিন্তু রুমানা তখন বাষ্পরুদ্ধ। তাঁর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়াটাও হলো সেরকম, ‘কি বলব! আমি ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না…।’ এটাই স্বাভাবিক। মেয়েদের ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম হ্যাটট্রিকটা যে একটু আগে তিনিই করলেন!
বেলফাস্টে আজ আয়ারল্যান্ডের মেয়েদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে লেগ স্পিনার রুমানার হ্যাটট্রিকেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ মহিলা দল। টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-০ তে হারার পর আজকের জয়ে ওয়ানডে সিরিজটা বাংলাদেশের মেয়েরা জিতল ১-০ তে। প্রথম ওয়ানডেটি ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে।
দলকে জিতিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন রুমানাই। ‘দারুন লাগছে। ওই সময়ে এটা না হলে আমরা জিততাম না। দলের জন্য এরকম একটা কিছুই দরকার ছিল। চাপের মধ্যে থেকেও কাজটা করে পেরে আমি খুশি’—মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলছিলেন রুমানা। বাংলাদেশের মেয়েদের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করবেন, এটা তাঁর কল্পনাতেও আসেনি কখনো। কিন্তু হ্যাটট্রিক বলের আগে ভর করেছিল আত্মবিশ্বাস, ‘আগের দুই ব্যাটসম্যানকে আমি সোজা বল করে এলবিডব্লু করেছি। হ্যাটট্রিক বলেও ভাবলাম ওরকম বলই করতে হবে। টার্ন করানোর চেষ্টা না করে সোজা করতে চেয়েছি। সেটাই হয়েছে।’
প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের মেয়েরা ৪০.১ ওভারে করে ১০৬ রান। জবাবে সহজ জয়ের দিকেই যাচ্ছিল আইরিশ মেয়েরা। এক পর্যায়ে হাতে ৮ উইকেট নিয়ে দরকার ছিল মাত্র ৫৫ রান। কিন্তু রুমানার হ্যাটট্রিকে ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। বাংলাদেশের মেয়েদের হাতে ধরা দেয় সিরিজ জয়।