উপরের এই ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে এক খেলোয়াড় বিকিনি পড়ে খেলছে এবং অপর খেলোয়াড়ের শরীর আবৃত করা পোশাক, সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস’ যেটিকে ‘সাংস্কৃতিক সংঘর্ষ’ উল্লেখ করছে, আর ডেইলি মেইলের কাছে এটি ‘সাংস্কৃতিক বিভাজনের একটি শক্তিশালী চিত্র’। অন্যদিকে দ্য সান একে সাংস্কৃতিক বিভাজনের বৃহদাকার রূপ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
এই ছবিটি বিচ ভলিবলের একটি ম্যাচে, সমুদ্রের পাড়ে মিশরের নারী খেলোয়াড়রা খেলছে জার্মানির বিরুদ্ধে। রিও অলিম্পিকের এই ম্যাচটির পর ইন্টারনেটে এ ছবি নিয়ে চলে ব্যাপক আলোচনা।
মিসরীয় দলের খেলোয়াড়দের ফুল হাতা পোশাক ও হিজাব অন্যদিকে বিকিনি পরিহিত জার্মান দলের খেলোয়াড়-অনেকেই এটাকে সাংস্কৃতিক বৈপরীত্য, সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব বা সাংস্কৃতিক বিভাজন হিসেবে উল্লেখ করে ওই টুর্নামেন্টের ছবি পোস্ট করেছেন।
কিছু মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এ খেলায় কোন বিষয়টি খেলোয়াড়দের বিভক্ত করছে আর এই বিচ ভলিবলে কোন বিষয়টি খেলোয়াড়দের একত্রিত করেছে তার ওপর ফোকাস করছিল কিছু মানুষ।
“হিজাব বনাম বিকিনি, অলিম্পিকে নারীদের বিচ ভলিবলে এই দু’পক্ষকে একসাথে খেলতে দেখলে তা সাংস্কৃতিক সংঘর্ষের কতটা ব্যাপক চিত্র হতে পারে?” –কলামিস্ট বেন ম্যাশেল টুইটারে এমন মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে সিএনএনের বিল ওয়েইর টুইটারে লিখেছেন এটি অলিম্পিকের একটি পরীক্ষা। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন “আপনারা কী দেখছেন-সংস্কৃতির সাংঘর্ষিক চিত্র? নাকি খেলার মধ্যে মানুষকে একত্রিত করার শক্তিশালী প্রচেষ্টা?”
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক ভলিবল ফেডারেশনের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী বিচ ভলিবলে নারী ক্রীড়াবিদদের বিকিনি ও পুরুষ ক্রীড়াবিদদের শর্টস পরে অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিলো।
অস্ট্রেলিয়ান স্পোর্টস কমিশন ২০১২ সালের অলিম্পিকের আগে অভিযোগ তোলে, নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য বিকিনি বাধ্যতামূলক করা কেবল অংশগ্রহণকারীর শরীর প্রদর্শন ছাড়া আর কিছু নয়, পোশাকের সাথে খেলার দক্ষতা কিংবা কৌশলের কোনো সম্পর্ক নেই।
২০১২ সালের পর থেকে নারী ক্রীড়াবিদরা ফুলহাতা পোশাক ও বডিস্যুট পরে খেলায় অংশ নেওয়ার অনুমতি পান।
কিন্তু হিজাব পরে বিচ ভলিবলে অংশ নেওয়া খেলোয়াড় এবারই প্রথম।