নিজস্ব প্রতিবেদক : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে যে হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসলীলা হয়েছে, ভবিষ্যতে আর বাংলাদেশে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনাই করি।
গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় আহত ও নিহতের সংখ্যা অনেক। যেটা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন দিন হয়নি। পেট্রোলবোমা, ককটেল ও আগুনে পুড়েছে অনেক মানুষ। রেহাই পায়নি প্রাকৃতিক সম্পদও।এই ধ্বংসলীলার জন্য দোষী কে সেটা আমি নির্নয় করতে যাব না। তবে বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার কাছে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। সম্মানীয় খালেদা জিয়া, আপনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবেন না।আন্দোলন করলেন। কিছুই পেলেন না।
শেষে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাকে নির্বাচনে আসার জন্য এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য ডাকলেন কিন্তু আপনি গেলেন না। আপনার বসন্তের কোকিল নেতাদের কথায়। নির্বাচনে না গিয়ে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করে আবারও একবার লজ্জা পেলেন।
নির্বাচন শেষে আবার মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে শুরু করলেন আন্দোলন। টানা ৯২দিন যা খুশি করলেন। তবে বসন্তের কোকিল নেতারা আপনাকে আবার ডুবালেন। নদীতে নামিয়ে আপনাকে তরীসহ ডুবিয়ে দিলো তারা।
ওই সময়ে আওয়ামী লীগ নেতারা আপনাকে(খালেদা জিয়া) বলেছেন, নির্বাচনী ট্রেন চলে গেছে। সেটা পরবর্তী নির্ধারিত সময় ছাড়া আর ফিরে আসবে না। আপনি তাদের কথাও শুনলেন না। সংবিধান মানতে চাইলেন না। শুধু আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ালেন।
আর এখন সেই সংবিধানও মানলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথাও মানলেন। আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কথাও মেনে নিয়ে দল গুছিয়ে ২০১৯ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাহলে তখন মানুষ মারলেন কেন? রাজনৈতিকভাব স্বার্থ হাসিলের জন্য কোন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে জনগণ কখনো হত্যাযজ্ঞ আশা করে না।