আরো ১০০ ড্রেজার প্রয়োজন নদীর নাব্যতা ফেরাতে
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘নদী খনন ও নাব্যতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ন্যূনতম ১০০টি ড্রেজার প্রয়োজন। বিআইডব্লিউটিএ’র হাতে রয়েছে মাত্র ২১টি ড্রেজার। ২১টির মধ্যে সরকারের গত মেয়াদে ১৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়। চলতি মেয়াদে ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
বুধবার (১৬ মার্চ) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ড্রেজিং সংক্রান্ত এক সেমিনারে এসব তিনি এ তথ্য জানান। নেদারল্যান্ডস-এর ড্রেজার কোম্পানি আই এইচসিএ সেমিনারের আয়োজন করে। ড্রেজার ও ড্রেজিং সংক্রান্ত শতাধিক ব্যক্তি এতে অংশ নেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি নদী মাতৃক দেশ। ছোট-বড় ৭০০টি নদী, জলপ্রবাহ ও খাল মিলে প্রায় ২৪,০০০ কিলোমিটার নৌপথ ছিল। বিগত সরকারগুলোর অযত্ন ও অবহেলার ফলে উক্ত নৌপথ বর্ষাকালে ৬,০০০ কিলোমিটারে এবং শুষ্ক মৌসুমে ৩,৯০০ কিলোমিটারে এসে দাঁড়ায়। নৌপথের নাব্যতা বজায় ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
শাজাহান খান বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএ নৌ-পথ খনন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ২০০৯ সন থেকে ২০১৫ সন পর্যন্ত প্রায় ১২০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হয়েছে। সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি নৌপথ খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’ নদী খননে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
আইএইচসি’র নির্বাহী পরিচালক আর্নল্ড ডেন বুন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নেদারল্যান্ডস-এর রাষ্ট্রদূত লিওনি কিউলিনেয়ার, কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর রশিদ, ড্রেজার কোম্পানি এস এস রহমান লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. রকিবুল আলম দিপু, ড্রেজিং ও ড্রেজার বিশেষজ্ঞ এম এইচ সরকার কক্তব্য রাখেন।