অফলাইনে ব্যবহার করা যাবে গুগল ম্যাপ
গুগল তাদের অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের জন্য নির্মিত ‘গুগল ম্যাপ’ অ্যাপ হালনাগাদ করেছে। আর এই সাম্প্রতিক হালনাগাদে যুক্ত হয়েছে এক বড় সুবিধা। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও গুগল ম্যাপ এখন পথ নির্দেশনার কাজ আংশিকভাবে চালাতে পারবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে এই অ্যাপ অফলাইন থেকেই তার ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকেশন, তাদের সময়সূচি এবং টেলিফোন নম্বর দিতে পারবে। গুগলের এই অ্যাপ অনলাইনে থাকা অবস্থায় ব্যবহারকারীর লোকেশন ডাউনলোড করে রাখবে সম্পূর্ণভাবে। যখন সে এলাকার সম্পূর্ণ ডাটা স্মার্টফোনে ডাউনলোড হয়ে যাবে, তখন থেকে অনলাইন-অফলাইন দুই অবস্থাতেই ম্যাপ পরিপূর্ণ সেবা দিতে পারবে।
তার মানে কোনো ড্রাইভার যদি অফলাইনে তার ম্যাপ অ্যাপ্লিকেশন চালু করে গাড়ি চালানো শুরু করেন, তার পরও গুগল ম্যাপ তাকে বিভিন্ন রুট নির্বাচন করা থেকে আনুমানিক সময়কাল সব সুবিধা সরবরাহ করতে পারবে। আর চারপাশের সঙ্গে তাল মেলাতে ম্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতি ১৫ দিন হালনাগাদ হতে থাকবে।
গুগলের প্রোডাক্ট ম্যানেজার আমান্ডা বিশপ বলেন, ‘আমরা প্রায় দুই-তিন বছর ধরে এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেছি। বিভিন্ন কারণে যেমন ধীরগতির ইন্টারনেট কিংবা একেবারে ইন্টারনেটের অভাবে গুগল ম্যাপ প্রায় অকেজো হয়ে বসে।’
তবে তাঁর মতে, এখন এসব ঝামেলার অবসান ঘটতে চলেছে। তিনি বলেন, ‘ব্যবহারকারীদের এখন আর কোনো যাত্রার আগে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের স্ক্রিনশট নিয়ে রাখতে হবে না। অনেক দ্রুতগতিতে সার্চ কিংবা ড্রাইভিং ডিরেকশন পাওয়া যাবে এখন।’
তবে অফলাইন মোডে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েই যাচ্ছে। বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের রিভিউ দেখা থেকে বঞ্চিত হতে হবে অফলাইন ম্যাপে। একই সঙ্গে থাকবে না ম্যাপ ব্যবহারকারীদের আপলোড করা বিভিন্ন ছবি। অন্যদিকে ম্যাপে স্যাটেলাইট মোড চালু করা যাবে না এ অবস্থায়। আর ড্রাইভিং মোড গাড়ির জন্য দেখার সুযোগ থাকলেও ওয়াকিং রুট এখানে অন্তর্ভুক্ত থাকছে না।
অন্যদিকে স্টোরেজ নিয়েও অনেকের অভিযোগ আছে। কারণ, ম্যাপের জন্য কোনো বড় শহরের সম্পূর্ণ ডাটা বেশ বৃহৎ আকারের। যেমন : লন্ডন শহরের ম্যাপ ডাউনলোড করে রাখতে খরচ হবে ৩৮০ মেগাবাইট, অন্যদিকে সানফ্রান্সিসকো শহরের ক্ষেত্রে এটি ২০০ মেগাবাইট। তবে গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ছোট সমস্যা এত বেশি সুবিধার কাছে খুব একটা পাত্তা পাবে না।