দুর্নীতি মামলায় নড়াইল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ নয়জনের জরিমানা
যশোর প্রতিনিধি : দুর্নীতির মামলায় নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনসহ ৯ জনকে ৬ লাখ ৬৭ হাজার ১২০ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে যশোরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক বিচারক শেখ ফারুক হোসেন এ জরিমানার আদেশ দেন।
একইসাথে আদালত চলাকালীন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকার সাজাও দেয়া হয় তাদের।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নড়াইল নড়াইল পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান ও বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, তৎকালীন কমিশনার (কাউন্সিলর) খন্দকার আল মুনসুর বিল্লাহ, শরফুল আলম লিটু, সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, কাজল লতা, এইচএম সোহেল রানা পলাশ, রুবেল মিয়া, তৌফিকুর রহমান মামুন, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ওয়াজিহুর রহমান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সরকারি কৌসুলী (পিপি) সিরাজুল ইসলাম জানান, সোহবার হোসেন নড়াইল পৌরসভার মেয়র থাকাকালে নড়াইল বাজার, রুপগঞ্জ বাজার ও নড়াইল বাসস্ট্যান্ডের ইজারা দেন। এসময় ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার স্বার্থে পৌর কমিশনার ও কর্মকর্তাদের সহায়তায় কমমূল্যে ইজারা দেন, যা বিগত বছরের তুলনায় ৬ লাখ ৬৭ হাজার ১২০ টাকা কম ছিল। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে সত্যতা পায় দুর্নীতি দমন কমিশন। এরপর তৎকালীন নড়াইল পৌর চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনসহ ১০ জনের নামে ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী। তদন্ত শেষে তিনি ২০০৯ সালের ৪ মার্চ আদালতে ১০জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। বিচার চলাকালে একজন আসামি মারা যাওয়ায় তার নাম বাদ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক শেখ ফারুক হোসেন মামলায় ৯ আসামিকে জরিমানা ও আদালত চলাকালীন সময় পর্যন্ত কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকার সাজাও প্রদান করেন।
একইসাথে জরিমানার অর্থ আসামিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে আদায় করার জন্য যশোরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
পিপি সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি সরকারি কোনো দায়িত্বে থাকার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। স্বাভাবিকভাবেই অপসারিত হবেন। এই মামলায় আপিল করার কোনো সুযোগ নেই।