ফুটবল বিশ্বকাপের আদলে বিয়ের আসর
অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামের আদলে ওয়েডিং হল, সবকিছুতেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাসহ বিভিন্ন ফুটবল দেশের ছোঁয়া। এ যেন বিয়ের আসর নয়, ছোট্ট এক টুকরো ফুটবল বিশ্বকাপের আসর।
এমনভাবে বিয়ে ও বিশ্বকাপকে মিশিয়ে দিলেন ভারতের কেরেলা রাজ্যের ত্রিচুরের দম্পতি জুবিন ও ইরেন। ত্রিচুরের সেন্ট মেরি চার্চে জুবিন ও ইরেনের বিয়ে হয়েছে। তারা লাঞ্চ পার্টির ব্যবস্থা করেছিলেন ত্রিচুরেরই সেন্ট অ্যালয়সিয়াস ওয়েডিং হলে। এই ওয়েডিং হলের ভিতরে ঢুকলে যে কারও মনে হতে পারে, তিনি কোনও বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামে ঢুকে পড়েছেন। খাবার টেবিলে বিভিন্ন দেশের পতাকায় মুড়ে দেওয়া। তবে সবচেয়ে বেশি রং আকাশি ও সাদা। কারণ, বর আর্জেন্টিনার ডাই হার্ট ফ্যান, তবে বউ নেইমারের অন্ধ ভক্ত। বরের ইচ্ছেতেই হল-ঘরের একদিনের রং আকাশি-সাদায় করা হয়েছিল। টেবল ক্লথগুলিও ছিল আর্জেন্টিনার ফ্ল্যাগ দিয়ে মোড়ানো। প্রত্যেক টেবিলে ছোট ছোট আর্জেন্টিনার পতাকাও লাগানো হয়েছিল।
আরও : দুই সন্তান রেখে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে
লাঞ্চ পার্টি শুরুর আগে একটা বিশাল কেকের অর্ডার দেওায় হয়েছিল। জুবিন বলছিলেন, ‘আমি আর্জেন্টিনার ফ্যান। তাই অনেক আগে থেকে সব পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। এখন গোটা বিশ্ব ফুটবল জ্বরে ভুগছে। এমন একটা সময় বিয়ে করছি, আর সেটা মনে রাখার মতো করব না? খরচের কথা চিন্তাই করিনি।’
হল ঘর সাজানোর দায়িত্বে ছিল রোমান ইভেন্ট প্ল্যানার্স। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গোছগাছের ব্যাপারটা তারাই করে। তাদের অন্যতম প্রধান জিনু পল বলছিলেন, ‘জুবিন অনেক আগে এসে ওদের বিয়ের ঘর সাজানোর পরিকল্পনাটা বলেছিল। আমরা জানি ও আর্জেন্টিনার অন্ধ ভক্ত। তাই কেক থেকে শুরু করে, হল ঘর সাজানো। সবকিছুই যাতে আর্জেন্টিনার পতাকার রংয়ে মুড়ে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করে গিয়েছি। জুবিন সন্তুষ্ট। আমরাও খুশি।’
তবে এত ফ্ল্যাগ, পতাকা দিয়ে গোটা অনুষ্ঠানটি সাজিয়ে তোলার কাজ তো কঠিন ছিল। পল বলছিলেন, ‘কেরেলা ফুটবল ক্রেজের কথা নতুন করে আর কাউকে বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। জুবিন বলছিল, সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করতে। আমরা সব কিছু লোকাল মার্কেট থেকেই কিনে নিয়ে এসেছি।’