ইভিএম প্রদর্শন, ভোটদানের পদ্ধতি শেখাবে ইসি
নিউজ ডেস্ক: বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে। তাই এই ভোটযন্ত্রের ওপর সবার আস্থা তৈরিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) হাতে নিয়েছে ভোটারদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ।
বরিশাল সিটির মাধ্যমে এটি শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে দেশের সব এলাকাতেই এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে। এজন্য ভোটাদের প্রশিক্ষণের সুবিধার্থে একটি মাস্টার ট্রেইনার গ্রুপ তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন। মোট ২০ কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত ওই মাস্টার টিম পরবর্তীতে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও ভোটারদের প্রশিক্ষণ দেবে।
এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১০ সালে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের প্রচলন শুরু করে। তারা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে ইভিএম প্রস্তুত নেয়। বেশ কয়েকটি নির্বাচনে ব্যবহার করে এই ভোটযন্ত্রে বিরাট সাফল্য অর্জন করে ওই কমিশন। কিন্তু পরবর্তীতের কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদর নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নিয়ে যন্ত্রটি রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০১৩ সালে ব্যবহার করতে গেলে বিপত্তি বাঁধে।
আরও : মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ
ওই নির্বাচনে একটি মেশিন বিকল হলে আর ভোটগ্রহণ করা যায়নি। এমনটি মেশিনটির ত্রুটির কারণ নির্ণয় এবং সমাধান বের করতে পারেনি। ফলশ্রুতিতে তারা প্রায় সাড়ে ১২শ ইভিএম মেশিন বাতিল ঘোষণা করে।
কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের বাইরে থেকে নতুন ইভিএম কিনে আনে। যা সরবরাহ করছে বাংলাদেশে মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি। ইতোমধ্যে কেএম নূরুল হুদা ঘোষণা দিয়েছেন আগের ইভিএমগুলোর চেয়ে এগুলো অধিক ভালো। এই যন্ত্রে ভোট কারচুপি করার কোনো উপায় নেই। কোনো দলকে নতুন এই মেশিনের ওপর অনাস্থা প্রকাশ না করে বরং পরীক্ষা করার আহ্বানও জানান তিনি। সিইসি বলেন, কেউ চাইলে তাদের আমরা এই মেশিনের কার্যকারিতা দেখাবো।
সেই কথার ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশন গত ডিসেম্বরে রংপুর এবং গত মে মাসে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দু’টি করে কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করে।