দিনরাত ব্যস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দর্জি কারিগররা
আরও : এই ৬টি নিরামিষ খাবারে রয়েছে প্রচুর আয়রন
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দর্জি পাড়ার কারিগররা। দিন-রাত সব মিলিয়ে তারা এখন প্রায় ১৬/১৭ঘন্টা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। যতই দিন এগুচ্ছে ঈদের ততই যেন তাদের কাজের ব্যস্ততা বেড়ে যাচ্ছে আরো কয়েকগুণ।
সবমিলিয়ে বোঝা যায় পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে কতটা ব্যস্ত সময় পাড় করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দর্জি কারিগররা। ঈদের আগে সব কাজ সময় মতো বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক দোকানে অতিরিক্ত কারিগর নিয়ে কাজ চালাচ্ছেন মালিকপক্ষ। তবে এবার ২০/২২ রোজার পরে আর অর্ডার নেবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর সহ আশে পাশে বিভিন্ন স্থানে ও মার্কেটে ১৫০শতাধিকের মতো দর্জির দোকান রয়েছে। দর্জির কারিগররা জানান, রোজার প্রথম দিক থেকে বৈরি আবহাওয়া থাকার কারণে অর্ডার একটু কম আসে। তবে এখন প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে মাঝরাত পর্যন্ত চলছে সেলাইয়ের কাজ।
সরজমিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট, হকার মার্কেট, সমবায় মার্কেটসহ শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার ঘুরে দেখা গেছে জমা-কাপড় তৈরি নিয়ে কারিগররা মহাব্যস্ত। রোজার মাসে সেহরি ও ইফতার খুব বেশী ভাল ভাবে খাবারেরও সময় তারা পাচ্ছেননা তারা এখন । কেউ কাপড়ের মাপ নিচ্ছেন, কেউ কাপড় কাটছেন, কেউ আবার সেলাই করছেন, কেউবা ইস্ত্রি করছেন, কেউ ভাজ করছেন, আবার কেউ অর্ডার বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি জামা সাজিয়ে রাখছেন।
শহরের পাইকপাড়া গৃহবধূ রোমানা বেগম জানান, ঈদের সময় সবাই চায় নতুন পোশাক পরতে, আর রেডিমেড দোকানে একই নকশার অনেক পোশাক থাকে।
দামের তুলনায় কাপড়ের মান তেমন একটা ভাল থাকেনা। তাই দোকান থেকে
পছন্দ মতো কাপড় কিনে দর্জির দোকানে কাপড় বানাতে দেই।এতে একদিকে যেমন ফিটিং ভাল অন্যদিকে পোষাকটার গুণগত মান ভাল হয়। শহরের ফুুলবাড়িয়া এলাকার এক কলেজ ছাএী জানান, থ্রি পিস বানাতে এসেছি।
কারণ দর্জির দোকান থেকে কাপড় সেলাই করলে জামা ফিটিং সুন্দর হয়। কোনও সমস্যা হলে নিয়ে আসা যায়। তবে মজুরি ২৫০-৩০০ টাকা হওয়ার কথা সেখানে ক্ষেএবিশেষে ৪০০-৬০০টাকা মজুরি নিচ্ছেন।
কয়েকজন দর্জি দোকানের মালিকরা জানান, এবছর তরুণীদের পছন্দের পোশাক লং কামিজ, ক্যাটরিনা, চম্পাকলি, রাবেয়া, মালতী, মান্নেতা। হিন্দি সিরিয়ালের ধাঁচে বিভিন্ন স্টাইলের পোশাক বানানোর চল এবারও সমান জনপ্রিয়। শহরের নিউ মার্কেট পাঞ্জাবি টেইলার্সের মালিক জসিম হোসেন জানান, ঈদের আগে আমিসহ আর একজন কাজ করতাম কিন্তু ঈদ উপলক্ষে এবার দোকানে মোট পাঁচ/সাত জন কাজ করছি। প্যান্ট শার্ট, থ্রি পিছ, জামার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তৈরি হচ্ছে পাঞ্জাবি।এবার হাতের তৈরী পাঞ্জাবির চাহিদা অনেক বেশী।