ঈদের আগে চাঙ্গা রেমিট্যান্স, মে মাসে চার বছরের সর্বোচ্চ
নিউজ ডেস্ক: প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় গত মে মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৭ শতাংশ। এই মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪৮ কোটি ২৮ লাখ ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা একক মাস হিসেবে গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে সর্বোচ্চ ১৪৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে। ব্যাংকারদের মতে, রমজান ও ঈদের কারণে এই মাসে রেমিট্যান্স অনেক বেড়েছে।
২০১৭ সালের মে মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১২৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। গত মে মাসে ২১ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। চলতি বছরের এপ্রিলে ১৩২ কোটি ৭১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এপ্রিলের চেয়ে মে মাসে প্রায় ১৬ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। আর গত বছরের এপ্রিলে এসেছে ১০৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার।
গত মার্চে ১২৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার বেশি এবং ফেব্রুয়ারিতে ১১৪ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
আরও : গোটা ছবিতে একা অভিনয় করে গিনেস বুকে রেকর্ড করেছিলেন সুনীল দত্ত!
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন এক হাজার ৩৫৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। যা গত অর্থবছরের পুরো সময়ের চেয়েও ৮১ কোটি ডলার বা ৬ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ রেমিট্যান্স কম আসে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা মাত্র ৮৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। রেমিট্যান্স প্রবাহের মাস হিসেবে গত ছয় বছরের মধ্যে এটিই ছিল সর্বনিম্ন। বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। রেমিট্যান্স বাড়ার পেছনে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধির ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্নিষ্টরা।
গত মে মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৫ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দুটি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে এক কোটি ২২ লাখ ডলার। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এক কোটি ৩৪ লাখ ডলার এসেছে। মে মাসে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৮ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলার। অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪ কোটি ৩২ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ডলার ও জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে আট কোটি ৬৭ লাখ ডলার এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীরা এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠান। এর আগের অর্থবছরে ছিল এক হাজার ৪৯২ কোটি ৬২ লাখ ডলার। এই হিসাবে গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমে ২১৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার। সূত্র: সমকাল