রোজা রেখেই ফাইনাল খেলবেন সালাহ
স্পোর্টস ডেস্ক : আর একদিন পরই ইউক্রেনের কিয়েভে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। ২০০৭ সালের পর এই প্রথমবার ইউরোপের বড় মঞ্চের ফাইনালে খেলছে লিভারপুল।
এবারের মৌসুম জুড়েই লিভারপুলের হয়ে দুর্দান্ত খেলছেন মিশরীয় ফুটবলার মোহাম্মদ সালাহ। ফাইনাল ম্যাচেও তিনি নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে ভালো কিছু উপহার দিবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে চলছে পবিত্র রমজান মাস। মোহাম্মদ সালাহ একজন মুসলিম। তিনি নিয়মিত রোজা পালন করছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল ম্যাচের দিনও মোহাম্মদ সালাহ রোজা ভাঙবেন না বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।
মিশরীয় পত্রিকা আল মাসরি আল ইয়াওয়ুম লিখেছে, ফাইনাল ম্যাচে রোজা সালাহর খেলার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না। সালাহর প্রতি দোয়া করতে তার পরিবার তিনটি গরু জবাই দিবে।
ফাইনাল ম্যাচটি ২৬ তারিখ হওয়ায় সেটি রমজানের মধ্যেই পড়ে যাচ্ছে। আরো বড় ব্যাপার হলো, ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট আগে ইফতারের সময় হবে। অর্থাৎ, খেলা শুরুর পূর্বেই মোহাম্মদ সালাহ ইফতার করতে পারবেন।
এ কারণে সালাহও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পুরো দিন রোজা রেখে ইফতার করেই মাঠে নামবেন তিনি। অর্থ্যাৎ, ইফতারের পর বিন্দুমাত্র বিশ্রামেরও সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি।
আরও : অভিযানের তথ্য ফাঁস : সটকে পড়ছে টার্গেট
লিভারপুল দলের সব সদস্যরাই জানেন সালাহ অনেক ধর্মপ্রাণ এক মানুষ। দলের খেলোয়াড় আলবার্তো মরেনো বলেন, সালাহদের এখন রমজান মাস চলছে। আমি তার খাবার খেয়ে দিতে পারি না। আমার মনে হয়, সালাহ ইনজুরি থেকে বাঁচতে ২০% অনুশীলন করছে। সালাহর ফিট থাকাটা আমাদের জন্য দরকারি।
প্রিমিয়ার লিগের মোটামুটি প্রায় সব দলেই মুসলিম খেলোয়াড় রয়েছে। আর্সেনালে আছেন জার্মান তারকা মেসুত ওজিল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আছেন পল পগবা। ব্যতিক্রম নয় লিভারপুলও। সালাহ ছাড়াও লিভারপুলে রয়েছেন সেনেগালের মুসলিম ফুটবলার সাদিও মানে। এই মুসলিম ফুটবলারদের ধর্মভীরুতা সম্পর্কে সবাই ওয়াকিবহাল। মূলত মানে, সালাহ এবং ফিরমিনোর কল্যাণেই আজ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে লিভারপুল।
লেগানেসের মরোক্কান ফুটবলার নাবিল এল জাহর মনে করেন, রোজা রাখায় তার অনুশীলনে বাড়তি সুবিধা হয়। এতে তিনি ভিতর থেকে পরিচ্ছন্নবোধ করেন।
তবে সালাহর সিদ্ধান্তের সমালোচনা হচ্ছে না তা নয়। পুষ্টিবিদ জেসুস মুনোজ যেমন দাবি করলেন, যদিও তারা (রোজাদার ফুটবলার) পরিচ্ছন্ন বোধ করে, তবে শারীরিক শ্রমের ক্ষেত্রে তারা পিছিয়ে পড়ে।’
সালাহর সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি বলেন, যদি সে (সালাহ) পুরোপুরি রোজা রাখে, তাহলে খেলায় তার প্রভাব পড়বেই।
মিশর এবার ফিফা বিশ্বকাপে অংশ নিবে। মিশর যে এবার বিশ্বকাপে অংশ নিবে এর পেছনে বড় অবদান আছে মোহাম্মদ সালাহর। বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘এ’তে রাশিয়া, উরুগুয়ে ও সৌদি আরবের মুখোমুখি হবে মিশর।