দেশনেত্রীর চিকিৎসা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না : রিজভী
দেশনেত্রীর চিকিৎসা নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করাই যেন প্রধানমন্ত্রীর এসময়ের প্রধান এজেন্ডা। প্রধানমন্ত্রী যেন সবসময় ক্রোধের আগুনে জ্বলছেন। আর এই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়েই প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবৈধ ক্ষমতার জোরে বন্দি করে রেখে ধুকে-ধুকে তাঁকে কষ্ট দিতে।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অত্যাচারীর দুঃশাসনের অবসান করতে জনগনের প্রতিজ্ঞা কখনই নিস্ফল হয়নি এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, নানা অসুখ-বিসুখ আক্রমনের কেন্দ্রস্থলে পরিনত হয়েছে কারাগারে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসকরার কক্ষটি। তাঁর শরীরে পোকামাকড়ের দংশণে তিনি আরো বেশি গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ঘাড়ে প্রচন্ড ব্যথা এবং বামহাতটা অবিরাম ব্যথার কারণে শক্ত হয়ে উঠেছে। দুইপা ক্রমাগত ব্যথা হচ্ছে এবং সেগুলো ভারি ও ফুলে উঠছে। মাত্র কিছুদিন আগে চোখে অস্ত্র-পচার হওয়ার কারণে দুই চোখই সারাক্ষণ জ্বালাপোড়া করতে থাকে। এর সঙ্গে বহুপ্রাচীন দেওয়ালগুলো থেকে ঝরেপড়া সিমেন্ট ও বালি চোখদুটোর অবস্থা আরো গুরুতর অবনতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ব্যথায় চোখদুটো সবসময় লাল হয়ে থাকে। রুমটি ভেজা ভেজা ও অস্বাস্থ্যকর ধূলাকীর্ন থাকার কারণে তাঁর প্রচন্ড কাশি প্রতিদিন বেড়েই চলছে।
আরও : ইফতারে সুস্বাদু বুন্দিয়া রায়তা
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের নির্দেশিত চিকিৎসকদেরও পরামর্শ জেল কর্তৃপক্ষ কানে তোলেননি কারন কর্তৃপক্ষের পিছনে দাঁড়িয়ে আছে সরকারী হুংকার। এই কারনে এখন পর্যন্ত তাঁকে অর্থপেডিক্স বেড দেয়া হয়নি। বিশেষায়িত হাসপাতালে এম-আর-আই পরিক্ষা ইত্যাদি অগ্রাহ্য করেছে কর্তৃপক্ষ।
রিজভী অভিযোগ করেন, গত ০৯ দিনে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে ৪৩ জন, নিহত ব্যক্তিদের মাদক ব্যবসায়ী বলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে প্রকৃত বড়-বড় মাদক ডিলাররা অন্তরালে থেকে যাচ্ছে। প্রভাবশালী মন্ত্রীদের বাড়ীতে তারা দেখা-সাক্ষাত করছে। চারদিকে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে, সরকারী এই মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে। এই মাদকবিরোধী অভিযানের নামে মানুষ হত্যার উৎসবে এরা বেছে-বেছে সরকারবিরেধী নির্দোষ তরুনদেরও অপরাধী সাজিয়ে হত্যা করবে। তার-দৃষ্টান্ত আমরা গতকাল তুলে ধরেছি ক্রসফায়ারে নিহত নেত্রকোনার ছাত্রদল নেতা আমজাদ হোসেনের ঘটনায়।
তিনি বলেন, মাদকের পশ্চাদভূমি বন্ধ না করে, গডফাদারদের না ধরে শুধু ক্রসফায়ারের হিড়িক অব্যাহত রাখলেই মাদক নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না। সারাদেশে মাদকের নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে এই ক্ষমতাসীনদের আমলে, ক্ষমতাবানদের পৃষ্টপোষকতায়। এই সকল ঘটনার মধ্যদিয়ে তারা দেশকে রক্তাক্ত নির্বাচনের দিকে নিয়ে যায় কিনা সেটি নিয়েও এখন মানুষ ভাবছে।