জেদ্দা বিমান দুর্ঘটনা : ‘আমার মাকে কোলে নিয়ে লাফ দিই’
অনলাইন ডেস্ক : বিমানবন্দরে নেমেই প্রিয়জনদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন জেদ্দায় বিমান দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশিরা। আজ বুধবার ভোরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন সৌদিতে ওমরা হজ্জ করতে যাওয়া ১৪১ জন বাঙালি। বর্ণনা করেন বিমান দুর্ঘটনার সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা।
জেদ্দায় বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া একজন বলেন, ‘প্রথমে আমার মিসেসকে ঝাঁপ দিতে বলি। পরে আমার মাকে কোলে নিয়ে লাফ দিই।’
আরেক নারী যাত্রী বলেন, ‘শুধু দুইটা ছেলের চেহারা মুখে ভাসছে। আমার ছেলে দুটোর জন্য আমাকে বাঁচতে হবে।’ দুর্ঘটনার শিকার এক যাত্রী বলেন, ‘ফাইনালি ক্যাপ্টেইন ডিসাইড করলো ল্যান্ডিং করবেন। ল্যান্ডিংটা ইমার্জেন্সি হওয়ার কারণে ৯০ ভাগ ধরে নিয়েছিলাম, মারা যাবো।’
আরও : ইফতারে সুস্বাদু বুন্দিয়া রায়তা
জেদ্দা বিমানবন্দরে অত্যাধুনিক ব্যবস্থার কারণেই প্রাণে বেঁচে গেছেন বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। তবে এতো বড় ঘটনার পরও বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কোনো সাড়া না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তারা।
এক যাত্রী বলেন, ‘অনেকেই ব্যথা পেয়েছে। অনেকেরই পা ভেঙ্গে গেছে। চোখে ব্যথা পেয়েছে অনেকে। অনেকের অনেক কিছু হয়েছে। কিন্তু কই? বাংলাদেশ থেকে তো কেউ গেল না।’
কান্নাজরিত কণ্ঠে এক যাত্রী বলেন, ‘আজ সকাল পর্যন্ত অ্যাম্বাসির কোনো লোক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’
গতকাল মঙ্গলবার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মদিনা থেকে ঢাকাগামী সৌদি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ জেদ্দায় জরুরি অবতরণ করে। উড়োজাহাজটিতে ১০ জন ক্রু ও ১৪১ জন বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে যাত্রী। তবে তাদের অবস্থা আশংকামুক্ত।