মেয়েদের জান্নাত কী মায়ের পায়ের নিচে না স্বামীর পায়ের নিচে?
আরটিভিতে সরাসরি প্রচারিত হয় ইসলাম নিয়ে প্রশ্নোত্তরমূলক বিশেষ অনুষ্ঠান শরিফ মেটাল প্রশ্ন করুন। এ অনুষ্ঠানে কুরআন ও হাদিসের আলোকে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়। এবারের পর্বে উত্তর দিয়েছেন হজরত মাওলানা মুফতী কাজী মুহম্মদ ইব্রাহীম।
প্রশ্ন: অপরিচিত কোনো পুরুষকে কোনো নারী সালাম দিতে পারবে কী?
উত্তর: ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারীর সম্পর্ক হলো ভাই-বোনের মতো। ভাই-বোন ভাই-বোনকে সালাম দিতেই পারে। সেই সূত্রে নবী কারিম (সা.) সালাম দিতেন।
প্রশ্ন: পারিবারের কোন সদস্যকে জাকাতের নিয়তে টাকা ধার দেয়া যাবে কী?
উত্তর: মা যদি নিজ সন্তানকে জাকাত হিসেবে অর্থ দিতে চায়, দিতে পারেন। কিন্তু বাবা পারবেন না। কারণ সন্তানের ভরণপোষণ দেয়ার দায়িত্ব বাবার। এজন্য তিনি সন্তানকে জাকাত দিলে সেটা আদায়ই হবে না। মায়ের উপর যেহেতু দায়ভার নেই তাই তিনি সন্তানকে জাকাতের নিয়তে ধারের টাকা দিতে পারবেন।
প্রশ্ন: মেয়েদের জান্নাত কি মায়ের পায়ের নীচে না স্বামীর পায়ের নীচে?
উত্তর: স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত আর মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত- এই দুইটির কোনোটাই সহীহ হাদীসে নেই। তবে এর ভাবটা সহীহ হাদিসে আরেকভাবে এসেছে, যেমন স্ত্রীর ব্যাপারে বলা হয়েছে, তোমার স্বামী তোমার জান্নাত অথবা জাহান্নাম। তাকে যদি সন্তুষ্ট করতে পারো জান্নাত, আর সে যদি ন্যায্যভাবে অসন্তুষ্ট থাকে তাহলে তোমার জন্য জাহান্নামের কারণ হবে। ঠিক মাতাপিতার ব্যাপারেও বলা আছে হাদিসে। মাতাপিতা হলো সন্তানের জন্য জান্নাতের গেইট। তবে প্রচলিত যে কথাটা আছে মায়ের পায়ের নিচে অথবা স্বামীর পায়ের নিচে বেহেশত এটা কোনও সহীহ হাদিসে নেই।
প্রশ্ন: পালক পুত্রকে বুকের দুধ খাওয়ানো কী পাপ?
উত্তর: আসলে পালক পুত্র কিংবা কন্যা গ্রহণ করা ইসলামে বৈধ নয়। কারণ তার সাথে তো বংশের কোনও সম্পর্ক নেই। যেহেতু এই সন্তানের সাথে রক্তসম্পর্কও নেই আবার দুধসম্পর্কও নেই। তাহলে তো সে পরপুরুষ কিংবা পরনারী। জাহেলি যুগে পুত্র কন্যা পালক নেওয়ার প্রচলন ছিল। এখন সেটা ইসলামে বৈধ নয়। তবে আপন ভাই যদি নিজের সন্তানকে অন্য ভাইয়ের কাছে পালক দেন সেটা ঠিক আছে। সেটাতে কোনো সমস্যা নেই।