ত্বক এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উপকারী আখের রস
তীব্র গরমে এক গ্লাস আখের রস শুধু তৃষ্ণা মেটাতে নয়, প্রাণবন্ত করতেও সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, বিভিন্ন খনিজ যেমন-ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম , ভিটামিন এ, সি, বি কমপ্লেক্স থাকে। এটি শরীরের ফিটনেস বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
একসময় শুধুমাত্র পাপুয়া নিউগিনিতে আখের চাষ হলেও বর্তমানে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জুড়ে এর চাষ হয়। ছোট ছোট টুকরো করে অথবা রস করে এটি খাওয়া যায়।
আখের রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের জন্য দারুন উপকারী। নিয়মিত মুখে আখের রস লাগালে ত্বক কুচকে যাওয়া, ব্রণের সমস্যা কমে যায়। ত্বক হয়ে ওঠে সজীব ও প্রাণবন্ত।
তাৎক্ষণিক শক্তি জোগাতে আখের রসের জুড়ি নেই। এটি পানে শরীরে ফুরফুরে অনুভূতি আসে।
গর্ভবতী নারীদের জন্য আখের রস দারুন উপকারী। এতে থাকা ফলিক এসিড এবং ভিটামিন বি ৯ গর্ভাবস্থায় শিশুর নানা ধরনের জন্মগত ত্রুটি সারাতে সাহায্য করে। এটি গর্ভকালীন কোষ্টকাঠিন্য সারাতেও ভূমিকা রাখে।
নিঃশ্বাসে যাদের দুর্গবন্ধ হয় তাদের জন্য আখের রস বেশ কার্যকরী। এতে থাকা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।আখের রস হাড় গঠনেও ভূমিকা রাখে।
লিভার সংক্রান্ত যেকোন রোগের জন্য আখের রস বেশ উপকারী। বিশেষ করে জন্ডিস রোগীদের জন্য এটি বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
আরও : মিশরকে সহজেই হারাল রাশিয়া
যাদের হজমে সমস্যা আছে তারা নিয়মিত আখের রস পান করতে পারেন। তাহলে এই সমস্যা সহজেই দূর হবে।
আখের রস প্রস্টেট এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
আখের রসে বিদ্যমান সুক্রোজ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এ কারণে ডায়বেটিস রোগীরাও সহজে এটি খেতে পারেন।
হঠাৎ গলায় ব্যথা অনুভব করলে সামান্য লেবু এবং লবণ মিশিয়ে আখের রস খেতে পারেন। এতে আরাম পাবেন। এতে থাকা ভিটামিন সি গলা ব্যথা সারাতে ভূমিকা রাখে। সেই সঙ্গে এতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ব্যাকটেরিয়াজনিত যেকোন ধরনের সংক্রমন সারাতে সাহায্য করে।
এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এছাড়া এতে ফাইবার থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণেও এটি ভুমিকা রাখে।
আখের রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা , মাংসপেশীর শক্তি এবং ইউরিনের সংক্রমন সারাতেও ভাল কাজ করে।
সূত্র : স্টাইলক্রেজ