জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র এবারের অনুষ্ঠানটি ধারণ করা হয়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহী জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ১৬ মার্চ জেলার তিতাস নদীর তীরে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের এক নম্বর কূপের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী জিনিস দিয়ে সাজানো মঞ্চে ধারণ করা হয় অনুষ্ঠানটি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এই গ্যাস ফিল্ডের ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে স্থানীয় জনগণ রেডিও সম্প্রচারের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। স্বাধীনতার মাসে ইত্যাদি ধারণ ও প্রচারের জন্য মুক্তিযুদ্ধের বহু বীর গাথায় সমৃদ্ধ এই জেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এবারের পর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর একটি তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন রয়েছে। ব্যতিক্রমী এক অটোরিকশাচালক দুলাল চন্দ্র দাসের ওপর একটি মানবিক প্রতিবেদন দেখানো হয়েছে। বরিশালের বাবুগঞ্জের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ইসাহাক শরীফের ওপর রয়েছে একটি শিক্ষণীয় প্রতিবেদন। এ ছাড়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নেদারল্যান্ডসের নাগরিক আনোয়ারা বেগমের নিজের শিকড়ের সন্ধানের ওপর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। এবারের ইত্যাদিতে মূল গান রয়েছে একটি। দেশাত্মবোধক গানটি গেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান দেশের সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী। গানটি লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান এবং সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন রাজেশ। গানটির সঙ্গে কোরিওগ্রাফি করেছেন স্থানীয় শিল্পীরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নিয়ে একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন এই জেলার অভিনয়শিল্পী জাকিয়া বারী মম ও স্থানীয় একদল নৃত্যশিল্পী।
নিয়মিত পর্বসহ এবারও রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস অথচ তীক্ষ্ণ নাট্যাংশ। ইত্যাদির রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত।