টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের অসাধারণ কিছু জয়
স্পোর্টস ডেস্ক : ছোট দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটের মধ্যে ওয়ানডেতে ইতিমধ্যেই নিজেদের শক্তিশালী হিসেবে প্রমাণ করেচে বাংলাদেশ। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিপরীত। জয়ের কোনো ধারাবাহিকতা নেই। নেই নির্ভরযোগ্য কোনো হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান। তবে সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার আছেন অনেকেই। তাদের পর্যাপ্ত যত্নও নেওয়া হয় না। এরপরেও টি-টোয়েন্টির ছোট্ট ইতিহাসে দুর্দান্ত কিছু জয়ের ইতিহাস গড়েছে টাইগাররা। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক সেই জয়গুলো:
২০১৫ সালের এপ্রিল মাস। মিরপুর শের-ই-বাংলায় বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান তুলেছিল ১৪১ রান। মাত্র ১৬.২ ওভারে ৩ উইকেটে সেই রান টপকে গিয়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
২০১৬ সালে এশিয়া কাপে পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশের। ২০ ওভারে পাকিস্তান তুলেছিল ১২৯। ৫ উইকেটে অনায়াসে সেই রান টপকে যায় বাংলাদেশ।
২০১৬ সালে এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৪৭ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু, কুড়ি ওভারে ১২৪ রানের বেশি তুলতে পারেননি শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা।
ঠিক এক বছর আগে ২০১৭ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ১৭৬ রান। কিন্তু তখনকার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার বিদায়ী ওই ম্যাচে ১৩১ রানের বেশি তুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।
এক বছরের মধ্যে আবারও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। সেই প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। মঞ্চ এবার নিদাহাস ট্রফি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আগে ব্যাট করতে নেমে ২১৪ রানের পাহাড় গড়ে লঙ্কানরা। জবাবে তামিম-লিটন-মুশফিকের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এটিই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর এবং জয়ের রেকর্ড।