বেনজেমার জন্য হ্যাটট্রিকের মায়া ছাড়লেন রোনালদো
স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচের ১৭ মিনিটের পর এমন উদ্যাপনের কথা ভাবতে পেরেছিলেন করিম বেনজেমা? কিংবা কেউ কখনো চিন্তা করতে পেরেছে হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়েও পেনাল্টি নেওয়ার সুযোগ ছেড়ে দেবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। অথবা শেষ কবে এভাবে জ্বলে উঠতে দেখা গেছে রিয়ালের আক্রমণের ত্রিফলা ‘বিবিসি’কে! সবকিছু মিলিয়ে দিল এক ম্যাচ। নিজেদের মাঠে আলাভেসকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
একজন স্ট্রাইকার দুঃস্বপ্নে কী দেখেন? জানতে চাইলে খুব বেশি কিছু করতে হবে না। রিয়াল-আলাভেস ম্যাচের ১৮তম মিনিটের রিপ্লে দেখে নিলেই চলবে। দারুণ এক প্রতি আক্রমণের সূচনা করেছিলেন কোভাচিচ। সে বল থিও হার্নান্দেজের পা ঘুরে এল ডি-বক্সে থাকা বেনজেমার কাছে। আশে পাশে নেই কোনো ডিফেন্ডার, হাতে অফুরন্ত সময়। কিন্তু বেনজেমা কী করলেন? শট নিতে গিয়ে পা ফসকালেন, তাঁর শট পোস্টের পাশ দিয়ে চলে গেল আলাভেস গোলরক্ষক পাচেকোকে নড়তেও হলো না।
তবু প্রথমার্ধে শেষে হাসিমুখে মাঠ ছাড়লেন বেনজেমা। কারণ ৪৪ মিনিটে অসাধারণ এক ব্যাক হিল। লুকাস ভাসকেজের পাস বক্সের মধ্যে পেয়ে গেলেন বেনজেমা। চারপাশে আলাভেস ডিফেন্ডারদের ভিড়, শট নেওয়ার কোনো উপায় নেই। বুদ্ধিদীপ্ত এক ব্যাক পাস বেনজেমার। সে বলে শরীরে এক মোচড় দিয়ে রোনালদোর বাঁ পায়ের জোরালো শট। এগিয়ে থেকে (১-০) প্রথমার্ধে শেষ করল রিয়াল।
৪৪ মিনিটের কীর্তিটা ভুলে যাওয়ার দশা ৪৬ মিনিটেই। দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হতেই বেনজেমা ঝলক। মধ্যমাঠে আলাভেসের খেলোয়াড় থেকে বল কেড়ে নিয়ে দৌড় শুরু করলেন বেনজেমা। বক্সের কাছে এসে থালায় সাজিয়ে দেওয়া খাবারের মতো গোল বানিয়ে দিলেন বেলকে। ব্যবধান দ্বিগুণ করতে কোনো কষ্ট হয়নি ওয়েলশ ফরোয়ার্ডের।
৫০ মিনিটে চক্রটা প্রায় পূরণই করে ফেলেছিলেন বেনজেমা। কিন্তু ভাসকেজের পাস থেকে পাওয়া শটটা জালে পাঠালেও বেনজেমা অফ সাইডে ছিলেন। ফলে বহুদিন পড়ে বিবিসির এক সঙ্গে মাঠে নামা গোল দিয়ে উদ্যাপন তখনই হলো না।
ভাসকেজের সে পাসটা বৃথা গেলেও ৬১ মিনিটে ঠিকই একটা ‘এসিস্টে’ নাম লেখালেন এই উইঙ্গার। বাঁ প্রান্তে বেনজেমার পা ঘুরে বল বেলের পায়ে। সেখান থেকে প্রান্ত বদল করে ডান প্রান্তে বল পেলেন ভাসকেজ। ভাসকেজের ক্রস থেকে রোনালদোর দ্বিতীয় গোল (৩-০)। এরপরও আরও দুবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। কিন্তু ভাসকেজের দুর্দান্ত সব প্রচেষ্টা কোনোভাবেই গোলে রূপ নিল না।
৮৯ মিনিটে অবিশ্বাস্য এক ঘটনা ঘটল। রোনালদোর পাস পেয়ে বক্সে ঢুকে গেলেন বেল। তাঁকে আটকাতে পেনাল্টি দিল আলাভেস। হ্যাটট্রিকের মুখে দাঁড়িয়ে রোনালদো। রিয়াল অধিনায়ক হিসেবে হ্যাটট্রিকের অনন্য এক অর্জন! এমন অবস্থায় কি না পেনাল্টি নিলেন না রোনালদো! বন্ধু বেনজেমাকে গোল করতে হবে না? বেনজেমা এমন ভালোবাসার প্রতিদান দিলেন গোল করেই। গোল পেলেন ‘বিবিসি’র তিনজনই। রিয়াল বড় জয় (৪-০) নিয়ে মাঠ ছাড়ল।
এর মানে এ নয় যে আলাভেস ম্যাচে কোনো ভূমিকাই রাখেনি, বরং উল্টো। দারুণ সব প্রতি আক্রমণে ভয় জাগিয়েছিল আলাভেস কিন্তু ফর্মে ফেরার জন্য এ ম্যাচকেই বেছে নিয়েছেন কেইলর নাভাস। পাঁচ-ছয়টি দুর্দান্ত সেভ করেছেন নাভাস। এতেই ৯ ডিসেম্বরের পর অবশেষে লিগে কোনো ম্যাচে গোল খায়নি রিয়াল।
স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচের ১৭ মিনিটের পর এমন উদ্যাপনের কথা ভাবতে পেরেছিলেন করিম বেনজেমা? কিংবা কেউ কখনো চিন্তা করতে পেরেছে হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়েও পেনাল্টি নেওয়ার সুযোগ ছেড়ে দেবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। অথবা শেষ কবে এভাবে জ্বলে উঠতে দেখা গেছে রিয়ালের আক্রমণের ত্রিফলা ‘বিবিসি’কে! সবকিছু মিলিয়ে দিল এক ম্যাচ। নিজেদের মাঠে আলাভেসকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
একজন স্ট্রাইকার দুঃস্বপ্নে কী দেখেন? জানতে চাইলে খুব বেশি কিছু করতে হবে না। রিয়াল-আলাভেস ম্যাচের ১৮তম মিনিটের রিপ্লে দেখে নিলেই চলবে। দারুণ এক প্রতি আক্রমণের সূচনা করেছিলেন কোভাচিচ। সে বল থিও হার্নান্দেজের পা ঘুরে এল ডি-বক্সে থাকা বেনজেমার কাছে। আশে পাশে নেই কোনো ডিফেন্ডার, হাতে অফুরন্ত সময়। কিন্তু বেনজেমা কী করলেন? শট নিতে গিয়ে পা ফসকালেন, তাঁর শট পোস্টের পাশ দিয়ে চলে গেল আলাভেস গোলরক্ষক পাচেকোকে নড়তেও হলো না।
তবু প্রথমার্ধে শেষে হাসিমুখে মাঠ ছাড়লেন বেনজেমা। কারণ ৪৪ মিনিটে অসাধারণ এক ব্যাক হিল। লুকাস ভাসকেজের পাস বক্সের মধ্যে পেয়ে গেলেন বেনজেমা। চারপাশে আলাভেস ডিফেন্ডারদের ভিড়, শট নেওয়ার কোনো উপায় নেই। বুদ্ধিদীপ্ত এক ব্যাক পাস বেনজেমার। সে বলে শরীরে এক মোচড় দিয়ে রোনালদোর বাঁ পায়ের জোরালো শট। এগিয়ে থেকে (১-০) প্রথমার্ধে শেষ করল রিয়াল।
৪৪ মিনিটের কীর্তিটা ভুলে যাওয়ার দশা ৪৬ মিনিটেই। দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হতেই বেনজেমা ঝলক। মধ্যমাঠে আলাভেসের খেলোয়াড় থেকে বল কেড়ে নিয়ে দৌড় শুরু করলেন বেনজেমা। বক্সের কাছে এসে থালায় সাজিয়ে দেওয়া খাবারের মতো গোল বানিয়ে দিলেন বেলকে। ব্যবধান দ্বিগুণ করতে কোনো কষ্ট হয়নি ওয়েলশ ফরোয়ার্ডের।
৫০ মিনিটে চক্রটা প্রায় পূরণই করে ফেলেছিলেন বেনজেমা। কিন্তু ভাসকেজের পাস থেকে পাওয়া শটটা জালে পাঠালেও বেনজেমা অফ সাইডে ছিলেন। ফলে বহুদিন পড়ে বিবিসির এক সঙ্গে মাঠে নামা গোল দিয়ে উদ্যাপন তখনই হলো না।
ভাসকেজের সে পাসটা বৃথা গেলেও ৬১ মিনিটে ঠিকই একটা ‘এসিস্টে’ নাম লেখালেন এই উইঙ্গার। বাঁ প্রান্তে বেনজেমার পা ঘুরে বল বেলের পায়ে। সেখান থেকে প্রান্ত বদল করে ডান প্রান্তে বল পেলেন ভাসকেজ। ভাসকেজের ক্রস থেকে রোনালদোর দ্বিতীয় গোল (৩-০)। এরপরও আরও দুবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। কিন্তু ভাসকেজের দুর্দান্ত সব প্রচেষ্টা কোনোভাবেই গোলে রূপ নিল না।
৮৯ মিনিটে অবিশ্বাস্য এক ঘটনা ঘটল। রোনালদোর পাস পেয়ে বক্সে ঢুকে গেলেন বেল। তাঁকে আটকাতে পেনাল্টি দিল আলাভেস। হ্যাটট্রিকের মুখে দাঁড়িয়ে রোনালদো। রিয়াল অধিনায়ক হিসেবে হ্যাটট্রিকের অনন্য এক অর্জন! এমন অবস্থায় কি না পেনাল্টি নিলেন না রোনালদো! বন্ধু বেনজেমাকে গোল করতে হবে না? বেনজেমা এমন ভালোবাসার প্রতিদান দিলেন গোল করেই। গোল পেলেন ‘বিবিসি’র তিনজনই। রিয়াল বড় জয় (৪-০) নিয়ে মাঠ ছাড়ল।
এর মানে এ নয় যে আলাভেস ম্যাচে কোনো ভূমিকাই রাখেনি, বরং উল্টো। দারুণ সব প্রতি আক্রমণে ভয় জাগিয়েছিল আলাভেস কিন্তু ফর্মে ফেরার জন্য এ ম্যাচকেই বেছে নিয়েছেন কেইলর নাভাস। পাঁচ-ছয়টি দুর্দান্ত সেভ করেছেন নাভাস। এতেই ৯ ডিসেম্বরের পর অবশেষে লিগে কোনো ম্যাচে গোল খায়নি রিয়াল।