রাজশাহীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র পদ্মার পাড় অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়েছে
পাপন সরকার শুভ্র,রাজশাহী : রাজশাহীর নগরীর অন্যতম প্রধান বিনোদন কেন্দ্র পদ্মা নদীর পাড়। এলাকাটি নির্মল ও বিশুদ্ধ বাতাসের আন্যতম উৎস। তবে সম্প্রতি নগরবাসীর অসচেতনতায় ও একটি অসাধু চক্রের পাল্লায় পড়ে নদীর এই পাড় প্রতিনিয়তই অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠছে। সাথে অবৈধ ভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে নদীর তীরবর্তী এলাকা। আর এসবকিছু প্রকাশ্যে ঘটলেও নিশ্চুপ কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি নগরীর পদ্মার পাড় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এই এলাকায় প্রকাশ্যেই ফেলা হচ্ছে আশপাশের বাড়ির ময়লা-আবর্জনা। এ আবর্জনার মধ্যে রয়েছে পরিবেশের জন্য মারত্মক
ক্ষতিকর পদার্থ পলিথিন ও প্লাস্টিক। আর এই আবর্জনার ফলে নদীর পাড়ে চলাফেরায় বেগ পেতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
সকালে ও বিকেলে বিভিন্ন বয়সের মানুষেরা নদীর পাড়ে আসে হাটতে ও নদীর মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে। তবে এই নদীর পাড়ের বেশ কিছু স্থানে আশপাশের এলকার মানুষ
তাদের বাড়ির ময়লা-আবর্জনা ও গবাদী পশুর মল ফেলে রাখছে। দীর্ঘদিন হতে এভাবে এই স্থানগুলোতে ময়লা ফেলে রাখার ফলে নদীর ধারে ময়লার স্তুপ হতে শুরু করেছে।
রাজশাহী নগরীর নদী তীরবর্তী এলাকাটিকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যা কিছু করণীয় তার অধিকাশই করা হয়েছিল বিগত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের আমলে। এর মধ্যে অন্যতম হল নগরীর পাঠান পাড়া এলাকার নদী তীরবর্তী লালন শাহ চত্ত্বর। তবে এর পূর্বদিকে স্থানীয়দের ফেলা ময়লা-আবর্জনা ও গমাদিপশুর মলের কারনে এখন নদী তীরবর্তী এই এলাকা দিয়ে চলাফেরা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
নদী তীরবর্তী লালন শাহ চত্ত্বর এলাকায় স্বপরিবারে বেড়াতে আসা ফজলার হক বলেন, বাচ্চদের নিয়ে সপ্তাহ শেষে এই নদী তীরে আসা হয়। তবে প্রতিনিয়ত নদীর পাড়ে যেভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে তাতে এই এলাকায় বেড়াতে আসা মানুষেরা অচিরেই মুখ ফিরিয়ে নিবেন।
সাগড়পাড়া এলাকা হতে নদী তীরে বেড়াতে আসা জেসমিন কায়সার বলেন, এত টাকা খরচ করে নদীর পাড় সুন্দর করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি এই ময়লা-আবর্জনা নদী তীরবর্তী এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। এবিষয়ে কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন না দেখা। তারা চাইলেই এই এলাকার পরিবেশ সুন্দর করতে পারেন। আমি কর্তৃপক্ষকে মনে করিয়ে দিতে চাই এই তাদের দায়িত্ব।