রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সেনানেতৃত্বকে দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জাতি নিধনে গণহত্যার জন্য মিয়ানমারের সেনানেতৃত্বকেই দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এক সভায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে দায়ী করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং বিশ্ব এই হত্যাযজ্ঞে চুপ করে বসে থাকতে পারে না।’
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিসকে টিলারসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রবোঝে যে মিয়ানেমারের সরকার সন্ত্রাসীদের নিয়ে একটু বিপাকে রয়েছে। কিন্তু সেনাবাহিনীকে তাদের কর্তব্য সম্পর্কে আরও দায়িত্বশীল ও সাবধানী হতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের ঘটনার জন্য সামরিক নেতৃত্বকে দায়ী মনে করছি।’
মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের বিরুদ্ধে পুনরায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে এবং যারা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্মম নির্যাতনমূলক অভিযান চালানোর জন্য দায়ী বেছে বেছে তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩ জন আইনপ্রণেতা আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের ওই ৪৩ জন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা এক চিঠিতে যৌথভাবে রেক্স টিলারসনের প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ‘যা ঘটেছে, তা প্রত্যাখ্যান করার চেষ্টা করবে’ মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। যারা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ‘অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ’ নেওয়ার কথাও বলেছেন তারা।
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা ইস্যু বহুদিন ধরেই মিয়ানমারের অন্যতম আলোচিত সংকট। তবে এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ‘রোহিঙ্গা’ বলতে নারাজ মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। গত ২৫ আগস্ট রাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি ও তল্লাশিচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলা এই সংকটকে নতুন করে উসকে দেয়। এর জেরে সেখানে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়, চলে দমন-পীড়ন। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ আসছে।