দিনে নয়, সংসার চালাতে রাতে চুরি করে ইলিশ ধরছে বাঞ্ছারামপুরের জেলেরা!!
---
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ‘এক সপ্তাহ ধওে ঘরে বাজার নেই,চাল নেই-ঢাল নেই-বাচবো কি করে? এ জন্য বিষয়টি অন্যায় তবুও জেনেই পেটের তাগিদে জেল-জুলুম থেকে বাচার জন্য রাতে কষ্ট হলেও ইলিশ ধরছি’’—এমনই অসহায় মন্তব্য করলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাহেরচরের দরিদ্র জেলে কানাই লাল দাস।তিনি বলেন,সরকার বলেছিলো-আমরা যদি ইলিশ না ধরি তবে সরকার ১৫ কেজি কওে চাল দিবে-সরকার কথা রাখেনি।তাই বাধ্য হয়ে আমরা নিয়ম ভঙ্গ করছি।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মেঘনা নদী থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরছেন জেলেরা। প্রতিদিন রাত ১০টার পর থেকে সারা রাত চলে ইলিশ শিকার। এতে মা ইলিশসহ জাটকা ধরা পড়ছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাহেরচর, খাসনগর, কড়িকান্দি, আড়াইহাজার উপজেলার বিষনন্দী, খাগকান্দা গ্রাম সংলঘ্ন প্রায় ১৫ কিলোমিটারজুড়ে মেঘনা নদী রয়েছে। অভিযানের ভয়ে দিনে কোনো জেলে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করছেন না। তবে রাত ১০টার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে ইলিশ ধরার জন্য মেঘনা নদীতে জেলেরা জাল পাতেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বাহেরচর ছাড়াহাটি, লঞ্চঘাট, খাসনগর বিদ্যুতের টাওয়ার এলাকা, কড়িকান্দি ফেরিঘাট, বিষনন্দী, টেটিয়া, দয়াকান্দা এলাকা থেকে শতাধিক জেলে নৌকা দিয়ে রাতের আঁধারে ইলিশ ধরছেন। এতে বিপুল পরিমাণ জাটকা ও মা ইলিশ ধরা পড়ছে। বাজারে ইলিশ বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও গ্রামে ফেরি করে এসব মাছ বিক্রি করছেন এক শ্রেণির অসাধু জেলে।তবে তাদেও সবাই দরিদ্র।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শুভ্র সরকার বলেন, রাতে মেঘনা নদী থেকে ইলিশ ধরছে বলে শুনেছি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলমগীর হোসেন বলেন, দিনের বেলায় ইলিশ ধরার বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মেঘনায় রাতে অভিযান চালানো হয়েছিল একদিন। সে সময় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। রাতে যদি জেলেরা ইলিশ ধরেন, তবে রাতেও অভিযান চালানো হবে।