বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বাঞ্ছারামপুরে পালিত হচ্ছে পূজো
---
ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে প্রতিনিধি : বৃষ্টি আর দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বাঞ্ছারামপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে ভাটা পড়েছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে খোজ নিতে বিভিন্ন পূজা মন্ডবে গেলে, আয়োজকদের মধ্যে বাঞ্ছারামপুর সদর উপজেলার হাইস্কুল রোড সংলগ্ন কৈবর্ত্যপাড়ার পূজা মন্ডপের আয়োজনকারীদের সভাপতি হরেন্দ্র চন্দ্র দাস,সাধারন সম্পাদক কানাই লাল চন্দ্র দাস,সহসভাপতি নিখিল রঞ্জন দাস,কাজল সরকারসহ অনেকেই জানান,-‘আমরা ভাবিনি এভাবে অবিরাম বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির কারনে আলোকসজ্জা,গেইট-প্যান্ডেল,মন্ডপের সরু রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।এতে দর্শনার্থী বহু কম হয়েছে।’ এদিকে,অবিরাম বৃষ্টিতে ফরদাবাদ.তেজখালীর বিভিন্ন ঘড়বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
হিন্দুধর্মালম্বীরা সাধারনত পূজোতে এক মন্ডপ হতে আরেক মন্ডপে স্বপরিবারে ঘুরতে পছন্দ করেন।এটা রীতিমতো ‘রীতি’-তে পরিণত হয়েছে।কিন্তু, এ বছর সপ্তমী,অষ্টমী,নবমী (আজ)দিন সকাল-বিকাল ধারাবাহিক বৃষ্টিতে নারী ও শিশুদের আনন্দ-টাই মাটি হয়ে গেছে মনে করছেন অনেকে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্টী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে মুল দেবী বন্দনা। এ অনুষ্ঠান চলবে ৫ দিন ব্যাপি অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর মহাদশমী পর্যন্ত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি পুরোদমে এগিয়ে চলছে। আসন্ন দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় চলছে মৃৎ শিল্পীদের। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাদা, মাটি, খড়, কাঠ, বাঁশ, সুতলি দিয়ে দূর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
সরেজমিনে ঘুরে আরো দেখা গেছে, প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমার কাছাকাছি রয়েছে পুলিশের কড়া নজরদারী। বৃষ্টির বাধা উপেক্ষা করে বহু স্থানে পূজো পালনের পাশাপাশি চলছে সর্বজনীন স্থায়ী মন্দিরগুলোতে সাজসজ্জা ও অস্থায়ী মন্ডপগুলোতে সুদৃশ্য বিশাল প্যান্ডেল, তোরণ এবং বর্ণাঢ্য আলোকসজ্জার ঝিলিক দিয়ে উঠছে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্টী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে মুল দেবী বন্দনা। এ অনুষ্ঠান চলবে ৫ দিন ব্যাপি অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর মহাদশমী পর্যন্ত।
এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান বাবু মিন্টু রঞ্জন সাহা ও সাধারণ সম্পাদক রুপুসদী ইউনিয়নের গৌড় ধন ঘোষ জানিয়েছেন, এ বছর বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সর্বমোট ৩৭টি পূজা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে পৌর শহরে ৩টি ও ১৩টি ইউনিয়নে ৩৪ টি মন্ডপে পুজা উদযাপিত হচ্ছে।এ বছর হাফ ডজন মন্ডপ বেড়েছে। বর্তমানে সকল পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা ব্যস্তসময় পার করছেন।