চরম সংকটেও খালেদা দেশের বাইরে : কাদের
---
কক্সবাজার প্রতিনিধি : সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশ এখন চরম সংকটে রয়েছে। দেশের এই সংকট মুহূর্তেও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে বসে আছেন। এক মাস পর আসবেন, দুই মাস পর আসবেন বলে তারিখ দিচ্ছেন, কিন্তু আসছেন না। কেন আসছেন না, দেশের মানুষের হয়ে তিনি সেই প্রশ্ন করেন তাঁর উদ্দেশে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার শহরের গোলদীঘির পাড়ে ইন্দ্রসেন দুর্গাবাড়ি মন্দিরে দুর্গোৎসবের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখা ও তাদের মানবিক আশ্রয় দেওয়ায় পুরো পৃথিবী শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু বিএনপিই একমাত্র দল, যারা সমালোচনা করে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে রোহিঙ্গাদের বাস্তব পরিস্থিতি দেখতে তাঁরা উখিয়া-টেকনাফে আসেন না। শুধু ঢাকায় বসে অন্ধকারে ঢিল ছোড়েন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এক মাস ধরে চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফে অবস্থান করছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু বিএনপি সেখানেও অভিযোগ তুলছে। প্রথমবার নিয়মকানুন মানেনি বলে বিএনপিকে ত্রাণ বিতরণে বাধা দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর বিএনপি নেতারা একাধিকবার ত্রাণ দিয়েছেন, সেখানে কিন্তু বাধা দেওয়া হয়নি। বিএনপি আসলে নিয়মকানুন না মেনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়।
প্রসঙ্গত, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আজ কক্সবাজার যাওয়ার কথা আছে। তিনি রোহিঙ্গাশিবির পরিদর্শন করবেন।
বিএনপি মহাসচিবের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গা সংকট শুরু হয়েছে এক মাস আগে। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি কক্সবাজার আসেননি। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এত দিন কেন রোহিঙ্গাদের বাস্তব পরিস্থিতি দেখতে আসেননি, তা দেশের মানুষ জানতে চায়।
এর আগে মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ কক্সবাজার জেলা শাখা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি রণজিত দাশ। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উখিয়া-টেকনাফের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, পুলিশ সুপার এ কে এম ইকবাল হোসেন, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মাহমুদ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।
বক্তব্য শেষে মন্ত্রী ইন্দ্রসেন দুর্গাবাড়ি মন্দিরে প্রদীপ প্রজ্বালন করে দুর্গোৎসবের শুভ সূচনা করেন।