স্মার্টফোনের বিকল্প আসছে!
---
অনলাইন ডেস্ক : স্মার্টফোন একসময় জনপ্রিয়তা হারাবে। স্মার্টফোনের জায়গায় চলে আসবে নতুন প্রযুক্তি। সেই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কাজ শুরুও হয়ে গেছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, স্মার্টফোনের বিকল্প হবে রোবট।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠেয় এক সম্মেলনে রোবোটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, মানবসদৃশ কৃত্রিম বুদ্ধিমান রোবটগুলো বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি কেনাকাটা এমনকি টুকটাক কাজেও সাহায্য করবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘স্টার ওয়ার্স’ ছবিতে দেখানো সি-৩ পিও রোবটের মতো বুদ্ধিমান ও অমায়িক রোবট চান অনেকেই। কিন্তু এখনকার সি-৩ পিও রোবটগুলো মানুষকে হতাশ করছে।
সফটব্যাংক রোবোটিকস আমেরিকার প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা স্টিভ কারলিনের প্রতিষ্ঠান চার ফুট লম্বা মানুষের মতো একটি রোবট তৈরি করেছে। এর নাম পিপার। রোবটটি বিভিন্ন মানুষের চেহারা মনে রাখতে পারে। এ ছাড়া পিৎজা খেতে আসা লোকজনকে স্বাগত জানাতে পারে। কিন্তু চারপাশে আর কী আছে, সে সম্পর্কে তার জ্ঞান নেই।
বোস্টন ডাইনামিকসের তৈরি প্রাণী রোবট সিঁড়ি বেয়ে উঠতে ও তুষারের মধ্যে চলতে পারে। কিন্তু আলাপচারিতা করার মতো দক্ষ হয়ে ওঠেনি এই রোবট।
আমাজন রোবোটিকসের তৈরি রোবট বক্সি মেশিন কারখানার মেঝেতে গড়িয়ে পণ্য সরানোর কাজ করতে পরে। তবে এটি জটিল কোনো কাজ করতে পারে না।
রাশিয়ার গ্রিসিন রোবোটিকসের প্রধান নির্বাহী দিমিত্রি গ্রিসিন বলেন, স্মার্টফোন হচ্ছে বিভিন্ন প্রযুক্তির সম্মিলন। প্রতিটি যন্ত্রাংশ পৃথকভাবে তৈরি হলে তা এক করে স্মার্টফোন তৈরি হয়। রোবটের বিষয়টিও তাই। এতেও কথা শনাক্ত করা, ভিজুয়াল কম্পিউটিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো নানান জটিল প্রযুক্তির সংমিশ্রণ থাকে। যখন যন্ত্রাংশগুলো উন্নত ও ব্যবহার উপযোগী হবে, তা একত্র করে আধুনিক স্মার্টফোনের অনুরূপ সি-৩ পিওর মতো রোবট তৈরি করা যাবে।
গ্রিসিন অবশ্য স্মার্টফোনের তুলনায় সর্বজনীন রোবট তৈরিতে বিজ্ঞানীরা কত দূর এগিয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
প্রায় ১০০ বছরের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আধুনিক স্মার্টফোন পূর্ণতা পেয়েছে। তবে কি স্মার্টফোনের বিকল্প তৈরিতে আরও ১০০ বছর লাগবে?
বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের গতি এখন অনেক বেড়ে গেছে। ফলে স্মার্টফোনের বিকল্প আসতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। শিগগিরই সি-৩ পিওর মতো রোবট দেখা যেতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করছেন বিশ্লেষকেরা।