মোটাতাজাকৃত গরুর গোশতে নানা ধরনের জটিল রোগ হতে পারে
---
ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম : গরু মোটাতাজাকরণে বিভিন্ন কেমিক্যাল, ইনজেকশন বা ঔষধ সেবনের কথা শোনা যায়। বিজ্ঞানের অপপ্রয়োগ করে গরু মোটাতাজাকরণ হলে মাংসের পুষ্টিগুণ কমে যাবে। যেসব পশুকে মোটাতাজাকরণ করা হয়, তাদের সংক্রমণ ঝুঁকি বেশি থাকে বলে তাদের অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়। সে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের একটি নির্দিষ্ট সীমা আছে। শেষ অ্যান্টিবায়োটিক এবং সেটা মানুষের খাওয়ার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। এটা যদি পার না হয়, তবে ওই অ্যান্টিবায়োটিক প্রবেশ করবে। যেসব পশু খাদ্যে অনেক সময় চামড়ার বর্জ্য থাকে। চামড়ার বর্জ্য থেকে প্রোটিন নেওয়া হয় পশু খাদ্য বানানোর জন্য এবং সেসব পশু খাদ্যে ক্রোমিয়াম নামে এক ধরনের হেভি মেটাল থাকে। সে হেভি মেটালের কারণে দীর্ঘমেয়াদি এক ধরনের বিষক্রিয়া হতে পারে। যার ফলে লিভার, কিডনি রোগ এমনকি ক্যান্সার জাতীয় নানা ধরনের রোগও হতে পারে।
বৈজ্ঞানিকভাবে গরু মোটাতাজা করা যেতে পারে। একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। তবে কেউ যদি সেই নির্দিষ্ট পদ্ধতির অপপ্রয়োগ করে দ্রুত লাভবান হওয়ার জন্য এটা করতে চায়, সেক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অপপ্রয়োগ হবে, গরু দ্রুত মারাও যেতে হবে।
পরিচিতি: অধ্যাপক, প্যাডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগ, বিএসএমএমইউ