রপ্তানি বাড়াতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ প্রকল্প
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রপ্তানি সম্প্রসারণের বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস্’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর আওতায় চামড়া ও চামড়াজাত এবং পাদুকা, হালকা প্রকৌশল (ইলেকট্রনিক্স ও মেশিনারি) এবং প্লাস্টিক খাতের রফতানি পণ্যের গুণগত মান উন্নয়ন ও মার্কেট ব্রান্ডিংয়ের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
সূত্র মতে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সম্প্রতি ৯৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. আব্দুর রউফ বলেন, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য হচ্ছে রফতানি লিড গ্রোথের মাধ্যমে দারিদ্র্য কমানো। এ লক্ষ্য অর্জনে রফতানি বহুমুখীকরণকে কৌশল হিসেবে নিয়েছে সরকার। তাই পণ্য ও মার্কেট বহুমুখীকরণকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রপ্তানি পণ্যের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যে সব সমস্যা রয়েছে তা দূরীকরণ করাই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
একনেক সভায় উপস্থাপিত প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়, রপ্তানি তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বিগত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোট রফতানি আয়ের ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ এসেছে ছয়টি পণ্য থেকে। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে ৮২ শতাংশ। অন্যদিকে রফতানি পণ্যের ৫৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ ইউরোপীয় বাজারে এবং ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ গেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। এতে বোঝা যায়, বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সীমিত পণ্য ও সীমিত বাজার এলাকায় সীমাবদ্ধ। আন্তর্জাতিক বাজারে যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা রপ্তানি বাজারকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই রপ্তানি পণ্যের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যে সব সমস্যা রয়েছে তা দূরীকরণে প্রকল্প গ্রহণ করার প্রয়োজন রয়েছে।
আব্দুর রউফ জানান, ঢাকার সাভার, মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান, গাজীপুর সদর উপজেলা এবং চট্টগ্রামের মীরসরাই- এই চার এলাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। এখানে প্রযুক্তি সেন্টার ও কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন, রিসাইক্লিং সুবিধা ও ক্লাস্টার শিল্পের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জুলাই ২০১৭ থেকে জুন ২০২৩ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়, তিনটি ভাগে ভাগ করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে, যেমন সরকারি বিনিয়োগ সুবিধার আওতায় চামড়া ও চামড়াজাত এবং পাদুকা, হালকা প্রকৌশল ও প্লাস্টিক এই তিন খাতের জন্য রিসাইক্লিং সুবিধা ও বিশেষ সাধারণ প্রযুক্তি সেন্টার স্থাপন, কোল্ড স্টোরেজ এবং প্রযুক্তি সেন্টার ও শিল্প ক্লাস্টারের মধ্যে যাতায়াত অবকাঠামো সুবিধার উন্নয়ন করা হবে।





ইলিশ মাছের মালিকানা পেল বাংলাদেশ
হোটেল ওলিও’তে নিহত ‘জঙ্গি’ সাইফুলের বাবা গ্রেফতার




