কে কী বললো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই : শাবনূর
---
বিনোদন প্রতিবেদক : ১৩ আগস্ট আমেরিকার অনলাইট টিভি টাইম টেলিভিশনে লাইভে এসে আরো কিছু নতুন তথ্য তুলে ধরেন রুবি। তিনি এক ঘণ্টা ১৭ মিনিটের এই ভিডিওর ৩৪ মিনিটের মাথায় বলেন, ‘সামিরা আমাকে বলেছিল যে শাবনূরের সঙ্গে ইমনের (সালমান শাহ’র) এফেয়ার ছিল। শাবনূর প্রেগনেন্টও হয়েছিল। সিঙ্গাপুরে নিয়ে ইমন তার অ্যাবোর্শন করিয়েছে। এগুলো সব সামিরার কাছ থেকে শুনেছি।’ বিষয়টি শোনে শাবনূর রীতিমত অবাক হলেন। আর রুবির এ ধরনের মন্তব্যের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি। জনপ্রিয় এ নায়িকা বলেন, ‘আমি আসলে তার (রুবির) ইন্টারভিউটি দেখিনি। তাই তার সম্পর্কে কিছুই বলতে পারছি না। আমাকে দেখতে হবে। তারপর বলতে হবে। তবে এগুলো সে কেন করছে, কী কারণে করছে, সেগুলো আগে জানা দরকার এবং তদন্ত হওয়া উচিত। সে কেন এমন করছে?’ তিনি বলেন, ‘কে কী বললো এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় আমার নেই। যারা সালমান শাহ’র বিষয়টির তদন্ত করছেন। তারাই একদিন না একদিন তদন্ত শেষে বিষয়টির সুরাহা করবেন। এর চেয়ে আর বেশি কিছু বলার নাই। সত্য কখনো চাপা থাকে না। সত্য একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই পাবে।’ শাবনূর বলেন, ‘তিনি (রুবি সুলতানা) কেন আমাকে জড়িয়ে এ ধরনের বানোয়াট মিথ্যা কথা বলেছে তা আমার বোধগম্য নয়। তবে তিনি যদি সত্যি এমনটি বলে থাকেন তাহলে এটা খুবই দুঃখজনক। আমি নিজেই বুঝতেছি না হঠাৎ তার এসব কথা বলার কারণ কী? তবে আমি এটুকু বলতে পারি তার দাবি সত্যি নয়।’ সামিরা প্রসঙ্গে শাবনূর বলেন, ‘সামিরাকে (সালমান শাহর স্ত্রী) তো আমি অনেক পছন্দ করি। আমি যখন সালমান শাহর সঙ্গে শুটিং করতাম সামিরা তখন সব সময় ছবির শুটিং ইউনিটে থাকত। আর ওকে ছাড়া সালমান কখনো আমার শুটিং ইউনিটে আসেনি। আর সামিরা রুবিকে এরকম কিছু বলতে পারে বলে আমার মনে হয় না। ওকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। ও ভালো একটা মেয়ে। সে যদি এরকম বাজে বাজে কথা বলে জনগণের কাছে আমাকে হেয় পতিপন্ন করতেই থাকে। আমি মানহানির মামলা করব। মানসম্মান রক্ষার জন্য মামলা করা ছাড়া অামার আর কোন উপায় থাকবে না। তিনি এমন মিথ্যা কথা এক জনের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। বিষয়টা তো ঠিক নয়।’ এদিকে ‘সালমান-সামিরার দাম্পত্য কলহের জন্য দায়ী শাবনূর’। গণমাধ্যমে এমন খবরও গত কয়েকদিন আগে প্রকাশ হয়েছে। সালমান শাহের পরিবারের সন্দেহের তালিকায় থাকা সামিরার বর্তমান স্বামী মোস্তাক ওয়াইজও গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সালমান-সামিরার মধ্যে শাবনূর তৃতীয় ব্যক্তি। তিনিও একটি রোল প্লে করেছেন। বিভিন্ন সময় তাকে নিয়ে ঝগড়া করতেন সালমান-সামিরা। এই মোস্তাক সালমান শাহের বাল্যবন্ধু। সালমানের মৃত্যুর তিন বছর পর তিনি সামিরাকে বিয়ে করেন।’ এ প্রসঙ্গে শাবনূর বলেন, ‘বয়সের তুলনায় আমি তো সালমান শাহর অনেক ছোট ছিলাম। সে আমাকে পিচ্চি বলে ডাকত। যেমন-শুটিংয়ের সময় এই পিচ্চি এই দিকে আয়। মানে তুই বলে সম্বোধন করত। আবার বলত, পিচ্চি কাজটা ঠিকভাবে করিস। সালমান বলতো, দেখ-আমার কোন বোন নেই। তুই আমার বোন। আর সালমান শাহ’র মাও নিজে বিভিন্ন সময় এ কথা সাক্ষাৎকারে বলেছেন।’ সালমান শাহ’র অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারেন নি শাবনূরও। তিনি বলেন, ‘সে আমার একজন ভাল সহ-শিল্পী ছিল। তাকে সম্মান করি। এখনো সবাই তাকে ভালোবাসে। আর কেউই এটা আশাও করেনি যে এভাবে চলে যাবে সালমান। তবে একদিন না একদিন সাধারণ মানুষ তার মৃত্যুর সত্য ঘটনা জানবেই। সবকিছুর একটা সুরহা হোক এটাই আমিও চাই।’ উল্লেখ্য, অকালপ্রয়াত এই জনপ্রিয় নায়ক মাত্র তিন বছরের চলচ্চিত্র জীবনে অভিনয় করেছেন ২৭টি ছবিতে। আর তার ১৪টি ছবিতে নায়িকা ছিলেন শাবনূর। শাবনূর অভিনীত সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’। মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত সেই সিনেমায় আরো ছিলেন মৌসুমী ও ফেরদৌস। এছাড়াও শাবনূর ২০০৫ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত দুই নয়নের আলো ছবিতে অভিনয় করে তার ক্যারিয়ারের একমাত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।