g জঙ্গিবাদ নির্মূলে ডব্লিউসিওর নিরাপত্তা প্রকল্প | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বৃহস্পতিবার, ২৭শে জুলাই, ২০১৭ ইং ১২ই শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

জঙ্গিবাদ নির্মূলে ডব্লিউসিওর নিরাপত্তা প্রকল্প

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ২৫, ২০১৭

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ কাস্টমস্ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) সিকিউরিটি প্রকল্প।

জাপান সরকারের অর্থায়ন এবং বিশ্ব কাস্টমস সংস্থার (ডব্লিউসিও) সরাসরি তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে পণ্যবাহী যান স্ক্যানিং করে এর ভেতরের দ্রব্যাদি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এছাড়া প্যাসেঞ্জার নেইম রেকর্ড (পিএনআর), অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন (এপিআই) ও ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) শনাক্তকরণে বড় ভূমিকা রাখবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওটানাবেল,জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান,বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, স্বরাষ্ট্র সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, নৌ-সচিব অশোক মধাব রায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডব্লিউসিও’র সেক্রেটারি জেনারেল কুনিও মিকুরিয়া।

অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান তার বক্তব্যে বলেন, সন্ত্রাস বর্তমান বিশ্বের একটি জটিল ও সংক্রামক ব্যাধি। সন্ত্রাস মোকাবেলায় বাংলাদেশে কাস্টমস্, পুলিশ, বর্ডারগার্ড, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে। ডব্লিউসিওর সিকিউরিটি প্রকল্প চালু হওয়ায় সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান আরো গতিশীল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ডব্লিউসিও’র সেক্রেটারি জেনারেল কুনিও মিকুরিয়া আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সিকিউরিটি প্রকল্প যে চারটি পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছে, তাতে অচিরেই বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে অবৈধ চোরাচালান ও বাণিজ্য নির্মূল হবে।

উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের আওতায় বিস্ফোরক তৈরির কাঁচামাল, হালকা আগ্নেয়াস্ত্র, বিভিন্ন ড্রাগ ও রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ ক্ষতিকর দ্রব্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তথ্য আদান প্রদানে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। অত্যন্ত নিখুঁতভাবে তথ্য সহায়তা পাওয়া যাবে যে কোনো যাত্রী বা পণ্যের ক্ষেত্রে। এই প্রকল্পে ডব্লিউসিও কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশ কাস্টমকে সহায়তা করছে।