g জিম্বাবুয়েকে জিততে দিলেন না ভারতীয় আম্পায়ার | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বৃহস্পতিবার, ২০শে জুলাই, ২০১৭ ইং ৫ই শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

জিম্বাবুয়েকে জিততে দিলেন না ভারতীয় আম্পায়ার

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ১৯, ২০১৭

---

স্পোর্টস ডেস্ক : সিকানদার রাজার বলটা টার্ন ও বাউন্স নিয়ে জমা হয় উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাভার গ্লাভসের। নিরোশান ডিকভেল্লার পা ততক্ষণে লাইনের বাইরে। দারুণভাবে স্টাম্পিং করেন চাকাভা। স্কয়ার লেগে থাকা আম্পায়ার টিভি আম্পায়ারের সাহায্য চান। রিপ্লেতে দেখা যায়, দাগের ঠিক ওপরে ছিলেন দিকভেল্লা। ক্রিকেটের নতুন নিয়ম অনুয়ায়ী, স্টাম্পিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানের গোড়ালির বেশির ভাগ অংশই লাইনের মধ্যে থাকতে হবে। সেই কারণে নিশ্চিত আউট জেনে কলম্বোতে উপস্থিত জিম্বাবুয়ের হাজার চারেক দর্শক উল্লাস শুরু করে দেয়। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সবুজ বাতি জ্বালিয়ে দেন ভারতীয় আম্পায়ার চেতহদ্দি শামুসুদ্দিন। দিকভেল্লার রান তখন ৩৯!

দিকভেল্লা তখন আউট হলে ম্যাচটা জিম্বাবুয়ে জিতত, বিষয়টা এমন নয়। তবে নিশ্চিত আউট হয়েও দিকভেল্লা জীবন পাওয়ায় নিজেদের বঞ্চিত ভাবতেই পারে জিম্বাবুয়ে। দিকভেল্লা তখন আউট হলে ম্যাচটা আরো প্রতিন্দ্বিতাপূর্ণ হতো সেটা নিশ্চিত। জীবন পেয়ে আরো ৪২ রান করেন এই লঙ্কান ব্যাটসম্যান। তার চেয়ে বড় কথা, জীবন পাওয়ার পর দিকভেল্লা-গুনারত্নে জুটি যোগ করেন আরও ৮৭ রান!

জিম্বাবুয়ের দেওয়া ৩৮৮ রানের লক্ষে খেলতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে লঙ্কানদের স্কোর ছিল ১৭০ রানে ৩ উইকেট। গত দিনের ৬০ রান নিয়ে আজ মাঠে নামেন কুশল মেন্ডিস আর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস অপরাজিত ছিলেন ১৭ রানে। পঞ্চম দিনের শুরুতেই জোড়া সফলতা পান ক্রেমার। তার ঘূর্ণির সামনে উইকেট দিয়ে আসেন মেন্ডিস ও ম্যাথিউস। এর পরই শুরু হয় দিকভেল্লা-গুনারত্নে কাব্য। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১২১ রান যোগ করেন তাঁরা। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে দিকভেল্লা যখন ফিরে যান, তখন জয়ের খুব কাছে শ্রীলঙ্কা। দিকভেল্লা ৮১ রান করে আউট হন, লঙ্কানদের রান তখন ৩২৪। এরপর দিলরুয়ান পেরেরাকে নিয়ে বাকি পথটুক আস্থার সঙ্গেই পাড়ি দেন গুনারত্নে।

দিকভেল্লা যখন জীবন পান জয় থেকে তখনও ১৪৯ রান দূরে শ্রীলঙ্কা। দিকভেল্লা তখন আউট হলে ম্যাচের চেহারাটাই বদলে যেতে পারত। সামাজিক মাধ্যমে দিকভেল্লার স্টাম্পিং বিতর্ক নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। হারের জন্য এখন শামসুদ্দিনকে কাঠগড়ায় তুলতেই পারে জিম্বাবুয়ে।