আমরণ অনশনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী
---
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর ও শিক্ষকদের ওপর হামলার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। আজ শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে তারা আমরণ অনশন শুরু করেন।
অনশনকারী দুই শিক্ষার্থী হলেন ইংরেজি বিভাগের ৪২তম আবর্তনের সর্দার জাহিদ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪০তম আবর্তনের পূজা বিশ্বাস।
জানা গেছে, বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪২তম ব্যাচের ছাত্র সর্দার জাহিদ একাই অনশনে বসেন। পরে বিকেল ৪টার দিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪০তম ব্যাচের ছাত্রী পূজা বিশ্বাস তার সঙ্গে যোগ দেন। পূজা বিশ্বাস বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা হয়রানিমূলক ও মিথ্যা মামলায় সামাজিক ও পারিবারিকভাবে আমাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। তাই হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছি। ”
সর্দার জাহিদ বলেন, “সামনে আমার ফাইনাল পরীক্ষা কিন্তু মামলার মাধ্যমে নানান হয়রানির কারণে স্বাভাবিকভাবে পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে পারছি না। সামাজিক ও পারিবারিকভাবে হেনস্থার শিকার হচ্ছি। তাই অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশনে যেতে বাধ্য হয়েছি। ” বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম এসে মামলা প্রত্যাহার করার ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত তারা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা বলেন, “যতদূর জেনেছি দুইজন শিক্ষার্থী দুপুর ২টা থেকে শহীদ মিনারের এখানে অবস্থান করছে। বিষয়টি মাননীয় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্তাব্যক্তিদের অবগত করেছি। উপাচার্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ক্যাম্পাসের বাইরে আছেন। উনি আসলে এ বিষয়ে প্রশাসনের বক্তব্য পরিষ্কার করবেন। ” মামলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি যতদূর জানি, মামলাটি এখন রাষ্ট্রবাদী মামলা। মামলার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী করবে- সে বিষয়ে একজন প্রক্টর হিসেবে এই মুহূর্তে আমি কিছু বলতে পারব না। ”
এর আগে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গত ৯ জুলাই মানববন্ধন ও ১১ জুলাই মৌন মিছিল করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।