‘শিগগির ফরহাদ মজহার অপহরণ রহস্যের সমাধান’
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : ফরহাদ মজহারের অপহরণ রহস্যের সমাধান শিগগির হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ফরহাদ মজহারের জবানবন্দির সঙ্গে প্রাপ্ত তথ্যের অসংগতি আছে। তবে তদন্ত শেষে শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। আজ বুধবার ডিএমপির সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন আছাদুজ্জামান মিয়া।
কবি, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহার গত ৩ জুলাই ভোর ৫টায় শ্যামলীর নিজ বাসা থেকে বের হন। ১৮ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে একটি বাস থেকে নামিয়ে আনে। ফরহাদ মজহার জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। তাঁকে একটি মাইক্রোবাসে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তুলে নিয়ে যান। গত ৮ জুলাই মাদকবিরোধী এক অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেছিলেন, ফরহাদ মজহার সম্ভবত অপহরণের স্বীকার হননি।
আইজিপি শহীদুল হক বলেন, আলোচিত-সমালোচিত এই প্রাবন্ধিক ও কবিকে অপহরণের অভিযোগের মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগ। বিভাগের জোনাল টিমের গোয়েন্দা পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন এই দায়িত্ব পেয়েছেন। তবে তিনি এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে এ ঘটনায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে আরো কিছু সময় লাগবে। আরো সাক্ষী প্রমাণ পেলে আগামী দুই-তিন দিন পর চূড়ান্তভাবে বলা যাবে। এখন পর্যন্ত আমাদের ধারণা, তিনি অপহরণ হননি।
গত সোমবার ভোরে রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় বাসা থেকে বের হওয়ার পর ফরহাদ মজহারকে পায়নি তার পরিবার। তাকে অপহরণ করা হয়েছে এমন অভিযোগে আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন তার স্ত্রী ফরিদা আখতার। পরে এ বিষয়ে মামলাও হয়। অবশ্য ওই রাতেই খুলনা থেকে একটি বাসে করে ঢাকায় ফেরার পথে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে মঙ্গলবার তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। সে দিনই আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে নিজ জিম্মায় মুক্তি দেন বিচারক। এরপর থেকে তিনি রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।