বিভিন্ন জেলায় বন্যার অবনতি, চরম দুর্ভোগ
---
নিউজ ডেস্ক : উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে সিলেট ও মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। অন্যদিকে নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও জামালপুরের বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় মানুষের চরম ভোগান্তি চলছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব এলাকার কয়েক লাখ মানুষ এখন পানিবন্দি। অনেকের ঘর-বাড়ি পানির নিচে ডুবে গেছে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন এসব লোকজন। বিপর্যয় ঘটেছে জীবন -যাপনে। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ পাঠক আব্দুল মান্নান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীতে আরও ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, বন্যার কারণে জেলার ১১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, বন্যায় জেলার ১৯টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এদিকে কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ও সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলায় ১৩ সেন্টিমিটার,তিস্তায় ৫ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে ১২ ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর-কুমারপাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর দিয়ে পানি ঢুকে সংলগ্ন ১০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর পাকা সড়কে পানি ওঠায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বন্যার ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। বর্তমানে নয়টি নদীর পানি ১৩টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। যমুনাসহ নদ-নদীতে পানি বাড়ছে। উজানের পানির ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে প্লাবিত হয়েছে অনেক নিম্নাঞ্চল। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে হাতিয়ায় ১৪৫ মিলিমিটার। বুধবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।