মশা নিধনে নামছে ১০ হাজার মেডিকেল শিক্ষার্থী

---
নিজস্ব প্রতিবেদক : চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসের পাশাপাশি জমে থাকা পানি অপসারণ ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে মাঠে নামছে ১০ হাজার মেডিকেল শিক্ষার্থী।
আগামী শনিবার সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, সব ধরনের প্যারামেডিকেল ইনস্টিটিউট, ম্যাটস এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর ৯১টি স্থানে এ কার্যক্রম চালাবেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর এ উদ্যোগ নিয়েছে। ওই দিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর), কমিউনিক্যাবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (সিডিসি), ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এ কর্মসূচিতে সহায়তা করছে।
মহাপরিচালক জানান, চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিধনে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা রাজধানীর ৯১ এলাকায় ঘুরে ঘুরে অভিযান চালাবেন। এ জন্য বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে তিন দিনব্যাপী ওরিয়েন্টশন ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে অভিযান কাজ পরিদর্শন ও কর্মসূচির সমন্বয় করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অভিযান চলাকালে নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র চিহ্নিত ও ধ্বংস, মোটরযান মেরামতের দোকানে গিয়ে টায়ার থেকে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস এবং যাতে পানি জমতে না পারে সেজন্য পুরনো টায়ারগুলো ফুটো করা, আবর্জনার ভাগাড়গুলোতে মশা প্রজননস্থল, পরিত্যক্ত ডাবের খোসা অপসারণ এবং বাসাবাড়ির ভেতরে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র চিহ্নিত করে ধ্বংস করা হবে। একইসঙ্গে জনসাধারণকে চিকুনগুনিয়া থেকে রক্ষা পেতে করণীয় সম্পর্কে অবহিত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা, শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আব্দুর রশিদ, আইইসিডিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা, সিডিসি পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা প্রমুখ।