‘মারা তো যাবোই, কষ্ট যাতে কম হয় দোয়া করো’
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :লন্ডনে পুড়ে যাওয়া ভবনটির ১৭তলার ১৪৪ নাম্বার ফ্লাটে বাবা কমরু মিয়া সহ মা আর ভাইয়ের সাথেই বসবাস করতেন হোসনা। হোসনার বিয়ের কার্ড বিতরণ করা হচ্ছিল। বিয়ের সব কেনাকাটাও প্রায় শেষ। কিন্তু, আজ হোসনাসহ তার পরিবারের কেউ বেঁচে আছে কিনা কেউ জানেন না।
আগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকেই স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ বিছ্ন্নি এই পরিবারটির এক আত্মীয় লন্ডনপ্রবাসী আজিজুল হকের বরাত দিয়ে সাংবাদিক মুনজের আহমদ চৌধুরী এতথ্য জানিয়েছেন।
লন্ডনপ্রবাসী মুনজের আহমদ বলেন, ওই পরিবারটির সদস্যদের মধ্যে এক নারীর নাম হোসনা বেগম (২২)। আগামী ২৯ জুলাই তার বিয়ের দিন নির্ধারিত ছিল। হোসনা ও তার পরিবার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। তাদের বাড়ি মৌলভীবাজারের একাটুনা ইউনিয়নের বিরইনবাদ (খৈসাউড়া) গ্রামে।
মুনজের আহমদ বলেন, শেষবার ফোনে সংযোগ বিছিন্ন হবার আগে লন্ডনেই আরেকটি বাড়িতে বসবাসরত ভাইয়ের কাছে ফোনে কথা বলছিলেন হোসনা। নিশ্চিত মৃত্যুর ক্রমাগত এগিয়ে আসা দেখে ভাইয়ের কাছে বোনটি দোয়া চেয়েছিল-কেবল কিছুটা কম কষ্টের মৃত্যুর। তিনি বলেছিলেন, ‘মারা তো যাবোই, কষ্ট যাতে কম হয় দোয়া করো।’
তিনি বলেন, লন্ডনের উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে আর জীবিত উদ্ধারের আশা নেই।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের নর্থ কেনসিংটনে ২৪ তলা ওই ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১২ জন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন।
গ্রেনফেল টাওয়ার নামের ওই আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৭৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লন্ডনের দমকল বাহিনী বলেছে, আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।