শুক্রবার, ১৬ই জুন, ২০১৭ ইং ২রা আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মান হলেও চালু হয়নি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য সেবা॥

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ১১, ২০১৭
news-image

---

উপজেলা প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মান হলেও চালু হয়নি পূর্নাঙ্গ স্বাস্থ্য সেবা। এতে দীঘদিন পর অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও পূর্নাঙ্গা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার অন্তত ২লক্ষাধীক জনসাধারন। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মান হলেও বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন রয়েছে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের। এ ছাড়া নিয়োগ দেয়া হয়নি প্রয়োজনীয় জনবলও। উদ্বোধন না হলেও বর্তমানে হাসপাতালটিতে শুধু মাত্র বর্হিঃবিভাগ চালু রয়েছে। নেই প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ, চিকিৎসা সরঞ্জামও। প্রয়োজনীয় সরবরাহ পেলে শুরু হবে পূর্নাঙ্গ স্বাস্থ্য সেবা। তাই অতিদ্রুত এ সেবা চালুর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, ২ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠি বসবাসকারি ভৌগলিক গুরুত্বপূর্ণ জনপদ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা ২০০০সালে পুর্ণাঙ্গ উপজেলার স্বীকৃতি লাভ করে। এরপর র্দীঘদিন উপজেলা পরিষদের ছোট্র দুটি কক্ষে চেয়ার টেবিল ফেলে শুধু মাত্র বহিঃ বিভাগের চিকিৎসা সেবা চালু করে। কিন্তু পূর্নাঙ্গ স্বাস্থ্য সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছিলনা। রাষ্টীয় গুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠান (কেপিআই), আর্ন্তজাতিক নদীবন্দর ও অসংখ্য ছোট-বড় শিল্প কারখানা থাকলেও উপজেলাবাসী বঞ্চিত ছিল সরকারি স্বাস্থ্য সেবা থেকে। স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত থাকায় স্থানীয় এলাকাবাসীকে অন্তত ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অথবা ঢাকায় গিয়ে উন্নত চিকিৎসা সেবা নিতে হত। চরম দূর্ভোগের শিকার হতে হতো তাদের। তাই উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ২০১৪ সালে প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ একর জমির উপর নির্মান করেছে। গত বছরের নভেম্বর মাসের শেষ দিকে হাসপাতালটি স্বাস্থ্য অধিপ্তরের নিকট হস্তান্তর করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা মার্কেন্টাইল কর্পোরেশন লিঃ। আর র্দীঘদিন পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নির্মানের ফলে উপজেলাবাসী আশায় বুক বেধেছিল অবশেষে দীর্ঘদিন পর স্বাস্থ্য সেবা পেতে যাচ্ছেন তারা। কিন্তু তাদের আশা ফিকে হয়ে গেল হাসপাতালটি হস্তান্তরের পর। কারন ভবন নির্মান হলেও নেই আসবাবপত্র। পুরনো চেয়ার টেবিল ফেলে দেয়া হচ্ছে শুধু মাত্র বহিঃ বিভাগের সেবা। প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় প্রতিদিন বহিঃবিভাগের সেবা দিতেও হিমসিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে মুল ভবনের দুটি রুমে বহিঃবিভাগ চলছে। ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্রের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে।আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ জানান, হাসপাতালে সমস্যাটি খুবই জরুরি ভিতিত্তে সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় উস্থাপিত করা হয়েছে। এবং রেজুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে। দ্রুত ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করে দ্রুত পুর্নাঙ্গ স্বাস্থ্য সেবা চালুর জন্য উধ্বতন কতৃপর্ক্ষে অবহিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডাঃ নিশিত চন্দ্র বিশ্বাস জানান, যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য বিষয়ের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু আসবাবপত্র বরাদ্ধ হয়ে গেছে। খুবদ্রুত তা পাওয়া যাবে। তবে দ্রুত হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। আর হাসপাতালটি উদ্বোধন হলেই ধীরে ধীরে প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রপাতি পাওয়া যাবে।

এ জাতীয় আরও খবর