মা ও তিন সন্তানের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা
---
নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর তুরাগের কামারপাড়ার কালিয়ারটেকের একটি টিনশেডের বাসা থেকে তিন সন্তানসহ মায়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
নিহত রেহেনা পারভীনের ভাই সামছুল আলম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতেই তুরাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
তুরাগ থানার ওসি মাহবুবে খোদা এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার এজাহারে রেহেনার স্বামী মোস্তফা কামাল ও কামালের বোন কুহিনূরের নাম সন্দেহভাজন হিসেবে লেখা হয়েছে। রাতে মামলার পর মোস্তফাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তুরাগ থানা পুলিশ শুক্রবার ভোর রাতে ওই বাসা থেকে লাশ চারটি উদ্ধার করে। চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা এ ঘটনাটি নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, চারটি লাশ তারা ওই বাসা থেকে উদ্ধার করেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একটি ঘরের খাটে ছিল তিন সন্তানের লাশ। আরেক ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস নেওয়া অবস্থায় ঝুলে ছিল তাদের মায়ের দেহ। তিন সন্তানসহ মায়ের লাশ উদ্ধারের পর পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। শত শত মানুষ ওই বাসার সামনে ভিড় করতে থাকেন। গোটা এলাকায় ছিল শোকের ছায়া।
নিহতরা হলেন রেহেনা পারভীন (৪০), তার তিন সন্তান শান্তা (১৩), শেফা (৮) ও সাদ (৮ মাস)। তাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে।
মেয়ে শান্তা কামারপাড়ায় পরশমণি ল্যাবরেটরি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত, শেফা পড়ত প্রথম শ্রেণিতে। চার লাশের ময়নাতদন্ত গতকালই সম্পন্ন হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে।