মিয়ানমারের বিমান বিধ্বস্ত : ১০ আরোহীর লাশ উদ্ধার
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের বিধ্বস্ত সামরিক বিমানের ১০ আরোহীর মরদেহ বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী ও তল্লাশি দল।
দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, বুধবার ১২২ আরোহী নিয়ে নিখোঁজ হয় সামরিক বিমানটি। এতে সেনা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন, যার মধ্যে এক ডজনের মতো শিশু ছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে যে ১০ আরোহীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তার মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আন্দামান সাগরে বিধ্বস্ত বিমানটির কিছু অংশ পাওয়া গেছে। চীনের তৈরি ওয়াই-৮ পরিবহন বিমানটিতে ১৪ জন ক্রু ছিলেন।
বুধবার মায়েইক থেকে ইয়াঙ্গুনে যাচ্ছিল এই বিমান। দাওয়েই শহরের উপকূলে আন্দামান সাগরে এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। বুধবার মায়েইক থেকে উড্ডয়নের আধা ঘণ্টা পর দাওয়েই শহরের কাছে থাকার সময় কন্ট্রোল রুম থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় বিমানটি।
তল্লাশি অভিযানের সময় বৃহস্পতিবার সকালে আন্দামান সাগরে বিমানটির একটি চাকা, আরোহীদের ব্যাগপত্র ও কিছু লাইফ জ্যাকেট পাওয়া গেছে।
এ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কোনো আরোহীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এটি হবে মিয়ানমারের বিমান দুর্ঘটনার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাণহানীর ঘটনা।
বিমানটি কেন বিধ্বস্ত হয়েছে, তার কোনো কারণ এখনো পরিষ্কার নয়। দুর্যোগে পড়ার কোনো কলও আসেনি বিমান থেকে। এ ছাড়া যতটা ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে বিমানটি মধ্য আকাশে তছনছ হয়।
যদিও মিয়ানমারে এখন মৌসুমি বায়ুর সময় কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কোনো পূর্বাভাস ছিল না। ফলে আবহাওয়ার বিপর্যয়ে এ দুর্ঘটনা যে হয়নি, তা বলাই যায়।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত বছর মার্চ মাসে চীন থেকে বিমানটি কেনা হয় এবং এ পর্যন্ত ৮০৯ ঘণ্টা ফ্লাইটে ছিল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিয়ানমারে বেশ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে। ২০১৬ সালে রাজধানী নেইপিদোতে বিমান বাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাঁচজন এবং এর তিন মাস পর দেশটির মধ্যাঞ্চলে একটি সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে তিনজন নিহত হন। ২০১২ সালে এয়ার বাগানের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দুজন নিহত হন।