ফের বিয়ের খবরে পুতিনের সাবেক বউ
AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ২, ২০১৭
---
অনলাইন ডেস্ক : ভ্লাদিমির পুতিন তখন কেজিবি’র গোয়েন্দা। কর্মসূত্রে থাকেন পূর্ব জার্মানিতে। ১৯৮৩ সালে বিয়ে করেন ল্যুডমিলাকে। সংসার পাতেন ভিনদেশে। তার পরের তিরিশটা বছরে অনেক জল বয়ে গিয়েছে ভোলগা দিয়ে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙেছে। পুতিন দেশে ফিরেছেন সস্ত্রীক। রাজনীতিতে জাঁকিয়ে বসেছেন। সে দিনের গোয়েন্দা হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। আর তাদের বিয়েটাও ভেঙেছে ঠিক ৩০ বছর পরে ২০১৩ সালে।
বিয়ে ভাঙার পরে ল্যুডমিলা একটি মঠে আশ্রয় নেন বলে জানায় রুশ সংবাদমাধ্যম। পরের চারবছর প্রায় দেখাই যায়নি তাকে। সেই ল্যুডমিলাই হঠাৎ খবরে। একটি সংবাদ সংস্থার দাবি, পুরনো বন্ধু আর্থার ওকেরেটনিকে সম্ভবত বিয়ে করেছেন প্রাক্তন রুশ ফার্স্ট লেডি। কারণ কাগজপত্র বলছে, তিনি আর্থারের পদবি নিয়েছেন। সম্প্রতি লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে দু’জনের একসঙ্গে তোলা একটি ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এ নিয়ে সংবাদ সংস্থার তরফে প্রশ্ন করা হলে আর্থার হ্যাঁ-না কিছুই বলেননি।
ল্যুডমিলার বয়স এখন ৫৮। আর্থারের ৩৭। এও শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণ ফ্রান্সের বিয়ারিটৎজ-এ প্রায় ৭০ লক্ষ ইউরো দিয়ে দু’জনে একটা ছোটখাটো প্রাসাদ কিনেছেন। সেই বাড়ি এখন মেরামত হচ্ছে। কাজ শেষ হলেই নাকি সেখানে উঠে যাবেন আর্থার-ল্যুডমিলা।
আশ্চর্য হল, একই রকম একটা চর্চা এই মুহূর্তে চলছে পুতিনকে ঘিরেও। ৬৫ বছরের রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নাকি সম্পর্ক গড়ে উঠেছে অলিম্পিয়ান জিমন্যাস্ট, ৩০ বছরের আলিনা কাবায়েভার। যিনি পুতিন-ল্যুডমিলার বড় মেয়ের সমবয়সি।
২০১৩ তে ক্রেমলিনে এক ব্যালের অনুষ্ঠানে শেষবার একসঙ্গে দেখা যায় পুতিন-ল্যুডমিলাকে। সেখানেই ‘পারস্পরিক বোঝাপড়ায়’ ৩০ বছরের সম্পর্কে ইতি টানার কথা ঘোষণা করেন তারা। শোনা যায়, দাম্পত্য মধুর ছিল না।
পুতিনের জীবনীকার নাতালিয়া গেভোর্কিয়ানও বলেন, ‘ল্যুডমিলা ভালবেসেছিলেন। কিন্তু ভালবাসা পাননি।’ সরকারিভাবে ক্রেমলিনের তরফে রুশ প্রেসিডেন্টের যে জীবনী লেখা হয়েছিল, তাতে উল্লেখ পর্যন্ত ছিল না ল্যুডমিলার। আনন্দবাজার।