মিয়ানমারে শান্তি সম্মেলন, ২৫০ বন্দির মুক্তি
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :শান্তি আলোচনার প্রেক্ষাপটে আড়াই শতাধিক বন্দিকে ক্ষমা করেছে মিয়ানমার। বিভিন্ন অঞ্চলে গত পাঁচ দশক ধরে গৃহযুদ্ধের মতো যে পরিস্থিতি চলছে, সে অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে বুধবার দেশটির সরকার ও জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে এই আলোচনা শুরু হয়।
মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে বলা হয়, তারা মিয়ানমারের ১৮৬ নাগরিক ও ৭৩ জন বিদেশীকে সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে মুক্তি দিচ্ছে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্তত দু’জনকে আন্তঃধর্মীয় শান্তি প্রচারণার জন্য সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
২০১৫ সালে শান্তির প্রতীক হিসেবে একটি খ্রিস্টান ক্রস ও একটি বুদ্ধমূর্তি দিতে কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মির সদরদপ্তরে যাওয়ার পর তাদের গ্রেফতার করা হয়। গত বছর একটি মামলায় তাদেরকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে মানবাধিকার কর্মীরা একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা জানায়।
বুধবার সকালে মান্দালয়ে কারাগার থেকে বন্দিরা বেরিয়ে আসার সময় শুভাকাঙ্খীরা তাদের অভিবাদন জানায়। বন্দিদের মধ্যে ৪০ জন রাজনৈতিক বন্দি ছাড়াও ভূমি অধিকার, শিক্ষা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের অ্যাক্টিভিস্ট ও কৃষকরা ছিল।
২০১১ সালে জান্তা থেকে রূপান্তরিত দৃশ্যত বেসামরিক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মিয়ানমার কয়েক হাজার বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
এদিকে, শুরু হওয়া মিয়ানমারের শান্তি সম্মেলনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন এবং ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। যার কারণে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
কিন্তু বুধবার থেকে শুরু হওয়া শান্তি সম্মেলনে তাদের ডাকা হয়নি এবং বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনাও হবে না। এ সম্মেলনে যেসব বিদ্রোহী গোষ্ঠী যোগ দিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো- কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি, মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি এবং আরাকান আর্মি। সূত্র: রয়টার্স ও বিবিসি