ব্রিটেনে ফের হামলার আশঙ্কা, নামানো হচ্ছে সেনাবাহিনী
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :ম্যানচেস্টারে সোমবার রাতের হামলার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আরও বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আরও বড় ধরনের আশঙ্কা ‘তীব্র’ থেকে ‘সংকটপূর্ণ’ অবস্থায় পৌঁছে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সম্ভাব্য হামলা রুখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন থেরেসা মে। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
২১ মে সোমবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী আরিয়ানা গ্র্যান্ডের কনসার্টে চালানো ওই হামলায় নিহত হয়েছেন ২২ জন। ওই ঘটনায় আহত মানুষের সংখ্যা ৫৯ হামলার প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটেনে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রচারণা স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া সব রাজনৈতিক দল। তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে সারাবিশ্বে।
হামলার পর ব্রিটিশ সরকারের সংকট প্রতিহত কমিটির এক জরুরি বৈঠকের নেতৃত্ব দেন মে। বৈঠক শেষে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ম্যানচেস্টারের ঘটনায় চলমান তদন্তের ভিত্তিতে আমরা বুঝেছি, ব্রিটেনে এখন হামলার আশঙ্কা শুধু তীব্র নয়, সংকটপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে।’ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরো স্পষ্ট করে বলেন, আরেকটি হামলার আশঙ্কা এখন শুধু তীব্র নয় বরং তা অত্যাসন্ন।
প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, মঙ্গলবার নিরাপত্তা বাহিনীর সারাদিনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এ ধরনের হামলা চালানোর জন্য আরও বহু সন্ত্রাসী প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা প্রত্যেকে এককভাবে আলাদা আলাদা জায়গায় হামলার চেষ্টা করবে। মে দাবি করেন সাধারণ মানুষকে শুধু শুধু আতঙ্কিত করার ইচ্ছা তার সরকারের নেই ।
ম্যানচেস্টারের সন্দেহভাজন আত্মঘাতী হামলাকারী সালমান আবেদির বাবা-মা ছিলেন লিবীয় শরণার্থী। সাবেক একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফির রোষানল থেকে বাঁচতে লিবিয়া ছেড়ে পরিবারকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে আসেন সালমানের বাবা রামাদান। ডেইলি মেইলের অপর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব দাবি করা হয়। সংবাদমাধ্যম মিরর সালমানের বন্ধু-প্রতিবেশিদের সূত্রে জানাচ্ছে, ব্রিটেনে জন্ম নেওয়া সালমান কৈশোরে ছিলেন এক ফুটবল-উন্মাদ তরুণ। ভিডিও গেমেও আসক্তি ছিল তার।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, হামলাকারীর পরিচয় শনাক্তের ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের পুলিশ এখনও আশাবাদী। কারও কাছে ওই হামলার ফুটেজ থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সরবরাহ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে।