যে কারণে-যেভাবে খালেদার কার্যালয়ে অভিযান-তছনছ
---
রাষ্ট্র বিরোধী ও আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থী নাশকতা সামগ্রীর খোঁজে’ পুলিশ রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে অভিযানের মাধ্যমে অফিসটি ‘তছনছ করেছে’ বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ এসেছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অভিযানে পুলিশের প্রাপ্তি শূন্য। অর্থাৎ তারা কিছুই পায়নি। পুলিশও এটি স্বীকার করেছে। তাহলে কেন এই অভিযান?
অভিযানে পুলিশ কিছু পায়নি জানিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই অভিযানের পর পুলিশ বলেছে যে তাদের অভিযানে তাদের প্রাপ্তি শূন্য। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল (অব.) তৌহিদের কাছে কাছে তারা এ বিষয়ে বলেছে। আমিও সেখানে ছিলাম।’
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল সাতটার কিছু আগে আকস্মিকভাবে গুলশান কার্যালয়ের সামনে হঠাৎ করেই পুলিশ মোতায়েন হয়। ৭টার কিছু পরে গুলশান জোনের ডিসি মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে প্রবেশ করে।
খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে থাকা কর্মচারী নিমাই বলেন, সকাল সাতটা পুলিশ আমাদের কাছে কিছু না বলেই কার্যালয়ে প্রবেশ করে। প্রথমেই আমাদের মোবাইল নিয়ে নেয়। আমাদেরকে কোনো প্রকার নড়াচড়া করতে দেয়নি। রুমের মধ্যে ঢুকে কিছু ছবি এবং কাগজপত্র নিয়ে যায়। রুমে থাকা সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে দিয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে কার্যালয়টির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা।
আদালতের নির্দেশনা পেলে বিএনপির কার্যালয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কিছু আছে কি না তা জানার জন্য তল্লাশি করা হয়ে বলে জানান গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক।
অজ্ঞাতনামা যে জিডির প্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়েছে এতে বলা আছে, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, গুলশান থানাধীন রোড-৮৬, বাড়ি-০৬-এ এবং এর আশপাশ এলাকায় রাষ্ট্র বিরোধী ও আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা বিনষ্টসহ নাশকতামুলক কর্মকান্ডে সাধারণ জনগোষ্ঠীকে অংশগ্রহনের আহ্বানমুলক বিভিন্ন বক্তব্য সম্বলিত বিপুল পরিমান রাষ্ট্রীয় নাশকতাসৃষ্টির সামগ্রী আছে।” এর প্রেক্ষিতেই পুলিশ অভিযান চালায়।
প্রায় আড়াই ঘন্টার অভিযান শেষে পুলিশ কোনো কিছু উদ্ধার ছাড়াই বের হয়ে যায় বলে জানান বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযানে সময়ে পুরো কার্যালয় কাগজপত্র তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ অনুমতি ছাড়াই কার্যালয়ে প্রধান ফটকের গেটের তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করে। অফিসের ভেতরে থাকা ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি টিভি) ভেঙে ফেলা হয় বলেও দলেল নেতারা অভিযোগ করেছেন।
অভিযানের পরপরই কার্যালয়ে দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু কওে কর্মীরাও পরিস্থিতি দেখতে আসতে শুরু করেন। তারা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভও দেখান।
অভিযানের পর কার্যালয়ে আসেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, জাসাস সহ সভাপতি শায়রুল কবির খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুইয়া জুয়েল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।
আমাদের সময়.কম